রক্ষী-খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

আবাসনের কোনও বাসিন্দা নয়, রক্ষীই ছিল খুনিদের মূল লক্ষ্য। হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডে রক্ষী খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে আবাসনেরই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৬ ০৬:৩৬
Share:

আবাসনের কোনও বাসিন্দা নয়, রক্ষীই ছিল খুনিদের মূল লক্ষ্য। হাওড়ার রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডে রক্ষী খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে আবাসনেরই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, এই খুনের পিছনে প্রোমোটিং সংক্রান্ত কোনও ঘটনা জড়িত রয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ফোরশোর রোড সংলগ্ন রাউন্ড ট্যাঙ্ক রোডে শান্তিনিকেতন আবাসনের গেটে অন্যান্য দিনের মতো পাহারা দিচ্ছিলেন বিজয় মল্লিক (৫২) নামে আবাসনের এক প্রৌঢ় রক্ষী। ওই সময় এক যুবক খুব কাছ থেকে পিঠে গুলি করে পালিয়ে যায়। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন রাস্তায় লোকজন কম ছিল। যে কয়েক জন ঘটনাটি দেখতে পান, তাঁরাই চিৎকার করে লোকজনকে জানান। এর পর এলাকার বাসিন্দারা বিজয়বাবুকে দ্রুত হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়। যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটে তার পাশেই হাওড়া সিটি পুলিশ ও রেল পুলিশের পদস্থ কর্তাদের আবাসন হওয়ায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে বাসিন্দারা প্রশ্ন তোলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শান্তিনিকেতন আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে জানতে পারেন এক হাতে হেলমেট ঝোলানো এক যুবক ফোনে কারও সঙ্গে বলার পরই কোমর থেকে রিভলভার বার করে ফুট খানেক দূর থেকে ওই রক্ষীকে লক্ষ করে গুলি চালায়। সিসি ক্যামেরার ওই ফুটেজ অস্পষ্ট হলেও ছবি দেখে বোঝা গিয়েছে, ওই যুবক যখন গুলি চালায় তখন ওই রক্ষী পিছন ফিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাই ফোন করে ‘টার্গেট’ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই আবাসনের গেটে পাহারারত ওই প্রৌঢ় রক্ষীকে পিঠে গুলি করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান সুমিত কুমার বলেন, ‘‘ফুটেজ অস্পষ্ট হওয়ায় ওই যুবককে শনাক্ত করা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, ওই রক্ষীই খুনির লক্ষ্য ছিলেন। ঠিক কী কারণে উনি খুন হলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।’’

তবে হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গাধর মুখার্জি লেনে নিহত বিজয়বাবুর একটি সাড়ে তিন কাঠা জমি রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জমিটি এলাকার এক দুষ্কৃতীকে তিনি দিয়েছিলেন প্রোমোটিং করতে। শনিবার বিজয়বাবু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ওই দুষ্কৃতীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালেও দেখা গিয়েছিল। তদন্তকারীরা এখন জানার চেষ্টা করছে, এই খুনের পিছনে ওই দুষ্কৃতীর হাত রয়েছে কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন