খন্দপথে বিপদ সাঁকরাইলে

সাঁকরাইল লেভেল ক্রসিং থেকে যাওয়ার পথে রাস্তার মাঝে ফুট দেড়েকের বেশি গর্ত। বেশিরভাগ আরোহী ওই গর্ত এড়াতে সরু রাস্তাটি দিয়েই যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
Share:

এমনই হাল রাস্তার। নিজস্ব চিত্র।

দৃশ্য ১— সাঁকরাইল লেভেল ক্রসিং থেকে যাওয়ার পথে রাস্তার মাঝে ফুট দেড়েকের বেশি গর্ত। বেশিরভাগ আরোহী ওই গর্ত এড়াতে সরু রাস্তাটি দিয়েই যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কারও সাইকেলে বা মোটরবাইকে মহিলা থাকলে তাঁদের নামিয়ে দিয়ে চালক সরু রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। পরে ওই মহিলা হেঁটে রাস্তা গিয়ে ফের বাইক বা সাইকেলে উঠছেন। কখনও বাইক নিয়ে হেঁটে ওই রাস্তা পার হতে দেখা যায় চালককে। না হলে যে বিপদ অনিবার্য।

Advertisement

দৃশ্য ২— সকলেই যে বাইক না চালিয়ে হেঁটে ওই ভাঙা অংশ পার হচ্ছেন তা নয়। দেখা গেল এক বাইক আরোহী ওই গর্তের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ উল্টো দিক থেকে একটি ভ্যানো এসে যাওয়ায় ওই বাইক আরোহী নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে প্রায় পড়েই যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তিনি ফেললেন গর্তে জমা জলে। মোরামের জল ছিটকে উভয়ের গায়ে পড়ল। তাই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে গেল বচসা।

ওই রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি ট্রেলার ও ছোট গাড়ি গেলে যাত্রীরা ইষ্ট নাম জপ করেন। রাস্তটি পার হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তাঁরা।

Advertisement

সাঁকরাইল স্টেশনের এই অপ্রোচ রোডটি মেরেকেটে ৮০০ মিটার হবে। উত্তর ও দক্ষিণ দু’দিকেই গিয়েছে এই রাস্তা। তবে শুধু উত্তর দিকের অংশে খান পাঁচেক এমন বড় বড় গর্ত রয়েছে। দক্ষিণ দিকের অংশ তুলনামূলক একটু ভাল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে রেলের তরফে কিছু ইট ভাঙা ফেলে দেওয়া হয় রাস্তায়। কিছু দিন পরে একই অবস্থায় ফিরে আসে। অথচ রেলের হিসেবে প্রতিদিন এই রাস্তায় হাজার খানেক লরি, ট্রেলার-সহ ছোট গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া রয়েছে ভ্যানো, বাইক, সাইকেল। রাস্তাটি ভাল ভাবে সংস্কার করার জন্য বার বার রেল কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল অভয়চরণ হাইস্কুল, সাঁকরাইল গার্লস হাইস্কুল-সহ খান চারেক স্কুলের ছাত্রছাত্রী এই পথ দিয়ে যায়। রানীহাটি, চর্তুভুজকাঠি, সাঁকরাইল, ধূলাগড়-সহ বহু এলাকার মানুষ নাজিরগঞ্জের ফেরি পেরিয়ে সহজেই কলকাতা যান। চাঁপাতলা, নাজিরগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকার লোকেদের মুম্বই রোডে যাওয়ার এটি একমাত্র রাস্তা। সব মিলিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে দশ হাজার লোক এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। পাট ভগবতীপুরের বাসিন্দা ক্ষেত্র মাকাল বলেন, ‘‘রাস্তাটি কার্যত মরণফাঁদ। মাঝে মধ্যেই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়ই ট্রেলার নয়ানজুলিতে উল্টে যায়।’’ স্কুলছাত্র অরিন্দম মাকালের কথায়, ‘‘সাইকেল নিয়ে যেতে খুবই ভয় হয়। কিন্তু করা যাবে!’’

রাস্তা বেহালের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ যদিও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ডিআরএম আর কে মঙ্গলা বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।’’

মোটরবাইক চুরি। গোঘাটের দশঘরা গ্রামে বুধবার রাতে একটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে উঠোনে থাকা মোটরবাইক নিয়ে পালায় চোরেরা। বৃহস্পতিবার অভিযোগ হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন