নিরাপত্তায় জোর কমিশনারেটের

আলোর শহরে আজ চমক শোভাযাত্রায়

চন্দননগর আলোর শহর। এক সময়ের এই ফরাসি উপনিবেশের জগদ্ধাত্রী পুজো আর পাঁচটা এলাকার থেকে অনেকটাই আলাদা। শুধু হুগলি নয়, ভিন জেলা এমনকি ভিন রাজ্যের মানুষেরাও দলে দলে এখানে আসেন। রবিবার, নবমীর দিন শহরের সব কটি পুজো মণ্ডপেই ছিল উপচে যাওয়া ভিড়।

Advertisement

তাপস ঘোষ

চন্দননগর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৯
Share:

আলোকিত: বিসর্জনে দেখা যাবে এমনই আলোর খেলা। নিজস্ব চিত্র

আলোর জাদুতে মাততে তৈরি চন্দননগর। গঙ্গাপাড়ের এই প্রাচীন জনপদে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আজ, সোমবারের শোভাযাত্রায় কী চমক থাকবে তার প্রহর গুণছেন দর্শনাথীরা।

Advertisement

চন্দননগর আলোর শহর। এক সময়ের এই ফরাসি উপনিবেশের জগদ্ধাত্রী পুজো আর পাঁচটা এলাকার থেকে অনেকটাই আলাদা। শুধু হুগলি নয়, ভিন জেলা এমনকি ভিন রাজ্যের মানুষেরাও দলে দলে এখানে আসেন। রবিবার, নবমীর দিন শহরের সব কটি পুজো মণ্ডপেই ছিল উপচে যাওয়া ভিড়। তবে আলোর রোশনাইয়ের মধ্যেও এ দিন ছিল কিছুটা বিষাদের সুর। কেননা, ভাসানের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রবিবার থেকেই। বড় বড় ট্রাকে সাজানো হয়েছে বিশাল আলোকসজ্জা।

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ভাসানের শোভাযাত্রা। ২০১৫ সালে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্ধোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাসান-শোভাযাত্রার প্রশংসা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এখানকার শোভাযাত্রা শৃঙ্খলা মেনে হয়। কলকাতার দুর্গাপুজোতেও সেটি অনুসরণ করা হবে। তার পর থেকেই রাজ্য সরকারের আয়োজনে দুর্গাপুজোর ভাসানের কার্নিভাল শুরু হয়েছে কলকাতায়।

Advertisement

হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার মোট শোভাযাত্রায় যোগ দেবে ৭৯টি বারোয়ারি পুজো। তার মধ্যে থাকবে চন্দননগরের ৬২টি এবং ভদ্রেশ্বরের ১৭টি বারোয়ারি পুজো। থাকবে মোট ২৬৮টি ট্রাক। যে সব বারোয়ারি শোভাযাত্রায় যোগ দেবে না তারা সোমবার বিকেল চারটের মধ্যে প্রতিমার ভাসান করে দেবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হবে আলোর শোভাযাত্রা। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে শোভাযাত্রাগুলি যাবে চন্দননগরের রানিঘাটের দিকে।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, চাঁপাতলা সর্বজনীনের শোভাযাত্রার আলোয় দেখা যাবে পুরুলিয়ার ছৌ নাচে ব্যবহৃত নানা মুখোশ। বোড়ো সর্বজনীনের আলোয় থাকছে স্বপ্নের পরি। গোন্দলপাড়া এসি চট্ট্যোপাধ্যায় লেনের শোভাযাত্রায় ফুটে উঠবে বর্ণপরিচয়। এছাড়াও অন্যান্য শোভাযাত্রার কোথাও ফুটে উঠবে কন্যাশ্রী, জাপানের প্যাগোডা, আফ্রিকার জঙ্গল। থাকবে ভাল্লুকের নাচ, জিরাফের খেলা, বাউলের গান।

চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার পীযূষ পাণ্ডে জানান, শোভাযাত্রায় যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তার জন্য যোগদানকারী কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যাঁরা শোভাযাত্রা দেখতে আসবেন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন