ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার প্রোমোটার

উঠে যেতে রাজি না হওয়ায় হুগলির ডানকুনিতে এক ব্যবসায়ীর দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রোমোটার-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ দত্ত এবং অজিত ধোলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share:

উঠে যেতে রাজি না হওয়ায় হুগলির ডানকুনিতে এক ব্যবসায়ীর দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রোমোটার-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম পার্থ দত্ত এবং অজিত ধোলে।

Advertisement

অভিযোগ, বুধবার রাতে প্রমোটার পার্থ দত্ত ডানকুনির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চামুণ্ডাতলা এলাকার একটি লণ্ড্রি লোক লাগিয়ে ভেঙে দেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দোকানদার উত্তম দাস ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে মারধর করে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সন্ধ্যায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সন্ধ্যায় দু’জনকে গ্রেফতার করেন ডানকুনি থানার ওসি প্রদীপ দাঁ। শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৪ দিন পুলিশ হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক ধরে চামুণ্ডাতলায় অজিত ধোলের জমিতে ভাড়ায় দোকান চালাতেন উত্তমবাবু। সম্প্রতি তাঁকে কিছু না জানিয়েই ওই দোকান-সহ ৭ কাঠা জমি প্রোমোটিংয়ের জন্য পার্থবাবুকে বেচে দেন অজিতবাবু। এর পর থেকেই প্রোমোটার বারে বারেই তাঁকে উঠে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। হুমকিও আসতে থাকে। রুজিরুটির কারণে উত্তমবাবু উঠতে রাজি হননি। তিনি বিষয়টি নিয়ে পুরসভারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্ত এ সবের মধ্যেই তাঁর দোকান ভেঙে দেওয়া হল। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘এখন খাব কী! আমার সংসার চলবে কী করে?’’

Advertisement

এ দিকে, ওই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শাসক দলের নেতাদের অনেকের সঙ্গে প্রোমোটারদের দহরম-মহরম। সেই কারণে তাঁরা দাপিয়ে বেড়ান। প্রাক্তন এক তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকাতেই অভিযুক্ত প্রোমোটার ‘দাদাগিরি’ করতেন। ওই এলাকাতেই কিছু দিন আগে ‘বেআইনি’ ভাবে একটি বহুতল গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ।

ডানকুনির উপ-পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উত্তমবাবু আমাদের কাছে এসেছিলেন। সুষ্ঠু সমাধানের জন্য পার্থবাবুকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। চিঠিও গ্রহণ করেননি।’’ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা ওই ব্যবসায়ীর পাশে আছি। প্রয়োজনে ওঁকে সাহায্য করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন