ঝুলছে তালা। — নিজস্ব চিত্র
শৌচাগার তৈরি হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই। কিন্তু আজও জন সাধারণের জন্য সেটি খুলে দেওয়া হয়নি। ফলে মানুষজন খোলা জায়গাকেই শৌচাগার বানিয়ে ফেলেছেন। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এমন দৃশ্য দেখা গেল ডোমজুড় বাসস্ট্যান্ডে।
২০১০ সালে বাম পরিচালিত হাওড়া জেলাপরিষদ ডোমজুড় থানা সংলগ্ন প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার পরিকল্পনা করে। ওই প্রকল্পেই বাসস্ট্যান্ডের পাশেই কাঠা তিনেক জায়গায় এই শৌচাগারটি নির্মাণের পরিকল্পনাও করে। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে জেলা পরিষদ। ২০১৩ সাল নাগাদ জেলা পরিষদ শৌচাগারটি নির্মাণে হাত দেয়। ২০১৪ সালের গোড়ার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে জেলা পরিষদে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। পরিষেবার উন্নতির জন্য আরও টাকা বরাদ্দ করা হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কিন্তু দু’বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও শৌচাগারটি চালু করা গেল না। এখনও তালা ঝুলছে। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, ওই শৌচাগারে স্নানেরও ব্যবস্থা আছে।
সমস্যা কোথায়? জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘আগে শৌচাগারে জল নিকাশির জন্য সুষ্ঠ কোনও পরিকল্পনা না করেই সেটি তৈরি করে বাম বোর্ড। আমরা সুষ্ঠ নিকাশির ব্যবস্থা করছি। সেটা হয়ে গেলেই শৌচাগারটি চালু করা হবে।’’ যদিও পূর্বতন বোর্ডের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই চাপান-উতোরের জন্য দূষিত হচ্ছে এলাকা।