হাওড়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে এলেন না অনেক পরীক্ষার্থী

গ্রুপ-ডি’র পরীক্ষা শেষ নির্বিঘ্নেই

পরীক্ষায় পাশ করল দুই জেলার প্রশাসনই। প্রবল গরমের মধ্যেও হাওড়া ও হুগলিতে রাজ্য সরকারের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হল নির্বিঘ্নেই। ভাষা সমস্যার কারণে বাইরের রাজ্য থেকে আসা কিছু পরীক্ষার্থীর সমস্যা হলেও দ্রুত তা সামাল দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া ও উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০১:০৩
Share:

হাওড়ায় উলুবেড়িয়া স্টেশনে পরীক্ষার্থীদের ট্রেনে ওঠার ভিড়। ছবি: সুব্রত জানা

পরীক্ষায় পাশ করল দুই জেলার প্রশাসনই। প্রবল গরমের মধ্যেও হাওড়া ও হুগলিতে রাজ্য সরকারের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হল নির্বিঘ্নেই। ভাষা সমস্যার কারণে বাইরের রাজ্য থেকে আসা কিছু পরীক্ষার্থীর সমস্যা হলেও দ্রুত তা সামাল দেওয়া হয়।

Advertisement

হুগলিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৭৪ জন। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ৩৬৬টি। দূর থেকে আসা বেশির ভাগ পরীক্ষার্থীই শুক্রবার রাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। নিজেদের পরীক্ষাকেন্দ্রের কাছের স্টেশনের যাত্রীনিবাস বা হোটেলে রাত কাটিয়ে তাঁরা শনিবার নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সার বেঁধে অটো-টোটো-ট্রেকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো।

জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কোথাও কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ ভাবেই পরীক্ষা হয়েছে।’’

Advertisement

তবে, মগরার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবস্থা সামাল দেয়। পান্ডুয়ায় পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ লোডশেডিং হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই সমস্যার সমাধান হয়। প্রশ্নপত্রের ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিহার থেকে আসা জনা কুড়ি পরীক্ষার্থী পরীক্ষার পরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, প্রশ্নপত্র হিন্দিতে না হওয়ায় তাঁরা প্রশ্ন বুঝতেই পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারকেশ্বর ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা না-দিয়েই ফিরে যেতে হয় বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে।

কারণ, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডে লেখা জন্মতারিখের সঙ্গে আধার কার্ডে লেখা জন্মতারিখের মিল ছিল না। তাঁদের এক জন বিহারের অনিল শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেক অনুরোধের পরেও আমাদের চলে যেতে বলা হয়।’’ গরমে স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে জল-বাতাসা বিলি করা হয়।


হুগলিতে আরামবাগে বাসে বাদুরঝোলা ভিড়। ছবি: মোহন দাস

হাওড়ায় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৬৮ জনের। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ হাজির হননি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাইরের রাজ্যের পরীক্ষার্থীরাই মূলত আসেননি।’’ তবে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় যানজট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তাঁদের সুবিধা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা ঝাড়খণ্ড থেকে যে সব পরীক্ষার্থী এসেছিলেন, ভাষা সমস্যার কারণে তাঁদের কারও কারও পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ প্রশাসন তাঁদের সাহায্য করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন