Jute Mill

ওয়েলিংটনে ‘আর্থিক সঙ্কট’, উঠছে প্রশ্ন 

জোর পরে মঙ্গলবার, একাদশীতে মিল খুলতেই শ্রমিক সংগঠনকে ডেকে কর্তৃপক্ষ জানান, পাট নেই। এতেই চিন্তায় পড়েন শ্রমিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র।

হঠাৎ কাজ হারানোয় আশঙ্কায় ভুগছিলেন রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিলের শ্রমিকেরা। এক দিনের ব্যবধানে তা কেটেছে। বুধবার উৎপাদন স্বাভাবিক হয়েছে।

Advertisement

পুজোর পরে মঙ্গলবার, একাদশীতে মিল খুলতেই শ্রমিক সংগঠনকে ডেকে কর্তৃপক্ষ জানান, পাট নেই। তাই সকালের শিফ্‌ট চললেও ‘বি’ এবং রাতের শিফ্‌টে কাজ হবে না। এতেই চিন্তায় পড়েন শ্রমিকেরা। পরে কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানান, পাট এসেছে। বুধবার থেকে স্বাভাবিক উৎপাদন হবে। সেই মতো এ দিন শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি নেতা প্রাণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সাময়িক একটা অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।’’

তবে, কারখানায় আর্থিক সঙ্কট রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সংগঠনগুলিকে জানিয়েছেন। গত ২২ অক্টোবর শ্রমিকদের যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, সেই টাকা আগামী ৩ নভেম্বর দেওয়া হবে বলে মালিকপক্ষ জানান। আগামী ৭ নভেম্বরের বেতন ১২ নভেম্বর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

মিলের সিইও শান্তনু খেলোয়াড়ের দাবি, ‘‘আর্থিক সঙ্কট আছে বলেই বেতন দেরিতে দিতে হচ্ছে। কারখানার ভাঙা শেড মেরামত করা যাচ্ছে না। পাটের বাড়তি দাম, শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে প্রতি মাসে দেড় কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তবু শ্রমিকদের কথা ভেবে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সহযোগিতা করছেন। সাময়িক সমস্যা হয়েছে। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা আমরা করছি।’’

বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, এখন চটের বস্তার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই মূহূর্তে জুটমিলে আর্থিক সঙ্কটের পরিস্থিতি থাকার কথা নয়।

জেলা সিটু নেতা তীর্থঙ্কর রায় বলেন, ‘‘বাজারে চটের বস্তার এখন যা চাহিদা, তাতে আর্থিক সঙ্কটের প্রশ্নই থাকতে পারে না। সঠিক সময়ে শ্রমিকদের মজুরি মিটিয়ে দিয়ে হবে। এই নিয়ে টালবাহানা চলবে না। মিলের তিনটি শ্রমিক সংগঠন মালিকপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন