শ্যামপুরে বাঘরোল উদ্ধার, সচেতনতায় খুশি বন দফতর

উৎপলবাবুর দাবি, বছর খানেক আগেও ছবিটা ছিল ভিন্ন। তখন শ্যামপুরে গ্রামে গ্রামে বাঘরোল ধরার জন্য খাঁচা পাতা হত। বিশেষ ভাবে তৈরি সেই খাঁচায় পায়রা রেখে টোপ দেওয়া হত। বাঘরোলের মাংসও খাওয়া হত। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০০
Share:

খাঁচায়: বন দফতর উদ্ধার করার পর। ছবি: সুব্রত জানা

পোলট্রি ফার্ম থেকে একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘরোল উদ্ধার করল বন দফতর। বুধবার বিকেলে শ্যামপুরের ভগবানপুরের একটি পোলট্রি ফার্মে একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘরোল দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে পোলট্রি ফার্মের মধ্যে আটকে রেখেই বন দফতরকে খবর দেন। পরে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে বাঘরোলটিকে উদ্ধার করে গড়চুমুক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠায়।

Advertisement

উলুবেড়িয়া বন দফতরের রেঞ্জার উৎপল সরকার বলেন, ‘‘বাঘরোলটি পুরুষ। বয়স ৭/৮ বছর। এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী। সংরক্ষণ খুবই জরুরি।’’ বাঘরোল সাধারণত হোগলা বন, খড়ি বনে থাকে। শিকারের ধরতে হানা দেয় গৃহস্থ বাড়িতে। ধরে নিয়ে যায় হাঁস মুরগি।

এ দিন যে বাঘরোলটিকে উদ্ধার করা গিয়েছে, তাতে খুশি বন দফতর। উৎপলবাবুর দাবি, বছর খানেক আগেও ছবিটা ছিল ভিন্ন। তখন শ্যামপুরে গ্রামে গ্রামে বাঘরোল ধরার জন্য খাঁচা পাতা হত। বিশেষ ভাবে তৈরি সেই খাঁচায় পায়রা রেখে টোপ দেওয়া হত। বাঘরোলের মাংসও খাওয়া হত।

Advertisement

উৎপলবাবু বলেন, ‘‘শুধু মাংস খাওয়ার জন্য নয়, অনেক সময় ভয় পেয়েও মানুষ বন্যপ্রাণী মারেন। আমার এলাকায় শিবির করে বিষয়টি বুঝিয়েছি।

বন দফতরের ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি গ্রামে গ্রামে। তাতে উপকার যে হয়েছে এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।’’

এ দিন যাঁর পোলট্রি ফার্ম থেকে উদ্ধার হয়েছে বাঘরোলটি, সেই টাপুর রহমান বলেন, ‘‘কয়েক সপ্তাহ আগে বন দফতরের শিবির হয়েছে আমাদের গ্রামেও। তার পর থেকে গ্রামের মানুষ ঠিক করে বাঘরোল দেখলেই বন দফতরে খবর দেওয়া হবে।’’

এ দিনও অবশ্য অনেকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন বাঘরোলটিকে। টাপুর জানা, তাঁর পোলট্রির দু’টি মুরগি মেরেছে বাঘরোলটি। কিন্তু গ্রামের একাংশ বাসিন্দার পরামর্শে টাপুর পোলট্রির দরজা বন্ধ করে আটকে রাখেন প্রাণীটিকে। খবর দেন বন দফতরে।

বন দফতরে দাবি যে খুব ভুল নয়, তা প্রমাণ হয়েছে বৃহস্পতিবারই। এ দিন সকালে উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া একটি কচ্ছপও উদ্ধার করতে পেরেছে থেকে বন দফতর।

বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে কচ্ছপটিকেও গড়চুমুক প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এ দিন সকালে কুলগাছিয়ার বাসিন্দা জয়ন্ত মণ্ডল তাঁর বাড়ির সামনে কচ্ছপটিকে দেখতে পান। তিনিই বন দফতরের ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন