বিক্ষোভের জেরে বন্ধ রাস্তার কাজ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নির্দেশ মেনে ভৌগোলিক উপগ্রহ মানচিত্র অনুযায়ী বালিখাদের রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ,  গ্রামের শ্মশানের জমি দখল করে কাজ চলছে। এরপর শুক্রবার রাত থেকেই কাজ বন্ধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ আরামবাগের চাষিপাড়ায়

স্থানীয় শ্মশানের জমি দখল করে রাস্তা তৈরির অভিযোগে শ্রমিকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার সকালে আরামবাগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চাষিপাড়ার ঘটনা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নির্দেশ মেনে ভৌগোলিক উপগ্রহ মানচিত্র অনুযায়ী বালিখাদের রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের শ্মশানের জমি দখল করে কাজ চলছে। এরপর শুক্রবার রাত থেকেই কাজ বন্ধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দ্বারকেশ্বর সংলগ্ন তেলিপাড়া মৌজায় এই খাসভূমি গত ৭০ বছর ধরে শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাসিন্দা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘শ্মশান দখল করে মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করছে খাদ মালিকরা। শ্মশান উচ্ছেদের পাশাপাশি বাঁধের গায়ে যেভাবে গভীর করে মাটি কাটা হয়েছে, তাতে বাঁধটারও ক্ষতি হবে।’’

Advertisement

সংশ্লিষ্ট বৈধ খাদটির অন্যতম মালিক শেখ নিজামুদ্দিন বলেন, “বালি তোলার জন্য প্রায় ১২ একর এলাকা আমরা বরাত পেয়েছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নির্দেশে বালি তোলার জন্য ওই জায়গায় গাড়ি যাতায়াতের রাস্তা হচ্ছিল। জায়গাটা যে শ্মশান হিসাবে ব্যবহার হয় আমাদের জানা ছিল না। ’’

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও উপ-পুরপ্রধান রাজেশ চৌধুরী এ দিন ঘটনাস্থলে যান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন না করেই উপগ্রহ মানচিত্র অনুযায়ী বালিখাদ লিজ দেওয়া এবং খাদের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। অথচ সেই মানচিত্রের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের কোন মিল নেই। আর এই অসঙ্গতি ঘিরেই অশান্তি হয়েছে।’’

আরামবাগ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জয়ন্ত ভড় বলেন, “রাস্তার কাজ বন্ধ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement