আট দলের সুপার লিগ ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে সাঁকরাইলে

থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল লিগ ছিলই। এ বার শুরু হয়েছে সুপার লিগ। নতুন শুরু হওয়া এই লিগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন, এই লিগই ভবিষ্যতে সাঁকরাইলের পুরনো ফুটবল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে। থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য এই লিগকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ফুটবল লিগ ছিলই। এ বার শুরু হয়েছে সুপার লিগ। নতুন শুরু হওয়া এই লিগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন, এই লিগই ভবিষ্যতে সাঁকরাইলের পুরনো ফুটবল ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে। থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য এই লিগকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সাঁকরাইল সুপার লিগকে ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে এমনই মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

Advertisement

সাঁকরাইল থানা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত ফুটবল লিগ নিয়মিত নয়। লিগ কমিটির কর্তাদের পছন্দের দলকে পাইয়ে দেওয়া হয় সুবিধা—এ রকমই কিছু অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েক জন প্রাক্তন ফুটবলার, রেফারি ও ফুটবলপ্রেমী মিলে এলাকায় ৮টি দলকে নিয়ে নতুন ফুটবল লিগ শুরু করেছেন। লিগ পরিচালনার জন্য তৈরি হয়েছে আন্দুল-মৌড়ি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থা। প্রমাণ মাপের মাঠ না পাওয়ায় আপাতত ছোট মাঠে ‘সেভেন এ সাইড’ হিসেবে হচ্ছে খেলা। মাঠে লোক হচ্ছে ভালই। যদিও এই লিগকে কোনও গুরুত্ব দিতেই নারাজ সাঁকরাইল থানা স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।

নতুন লিগ কমিটির কর্তাদের দাবি, স্থানীয় লিগ কবে শুরু হয় আর কবে শেষ হয় এলাকার অনেকে জানতেই পারেন না। এই লিগকেই নতুন ভাবে শুরুর জন্য থানা স্পোর্টসের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সহযোগিতা করতে রাজি হয়নি। তখন আলাদা করে ‘সুপার লিগ’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। লিগ অনুমোদনের জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

নতুন লিগের অন্যতম আয়োজক বাংলা মহিলা দলের প্রাক্তন ফুটবলার ও বর্তমান কোচ রঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের (হাসি) অভিযোগ, ‘‘থানা স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশন মাঠ দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দু’টি ছোট মাঠে সাত জন করে ফুটবলার নিয়ে খেলা করতে হচ্ছে। পরের মরসুম থেকে বড় মাঠে বাইশ জন ফুটবলার খেলানোই আমাদের লক্ষ্য।’’ তিনি জানান, এখনও অবধি ৩০টির বেশি খেলা হয়েছে। আপাতত লিগ টেবিলের প্রথমে রয়েছে দুঁইল্যা অ্যাথেলেটিক ক্লাব। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে আদ্যাশক্তি ব্যায়াম সমিতি ও পূর্বপাড়া ফুটবল অ্যাকাডেমি।

যদিও অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাঁকরাইল থানা স্পোটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘যে লিগের কোনও অনুমোদনই নেই, তাকে কী ভাবে মাঠ দেব?’’ তিনি জানান, সামনের রবিবার বৈঠক করে সাঁকরাইল থানা লিগের জন্য নতুন মরসুমের দলবদল শুরু হবে। তার পরেই লিগ শুরু হবে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে খবর, একটি থানা এলাকায় দু’টি লিগকে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সাঁকরাইলে একটি ‘সেভেন সাইড’ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছে। লিগ নয়। আগে ফুটবলের নিয়ম মেনে লিগ চালু হোক, তার পর অনুমোদনের বিষয়টি আলোচনা করে দেখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন