শিশুকে স্কুলে ঢুকতে বাধা

খুদে ছাত্রীটির বাবা স্কুলের শিক্ষক। স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যত্র বদলি করায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বাবার এই ‘অপরাধে’ পাঁচ বছরের ছাত্রীটিকে সোমবার স্কুলে ঢুকতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০২:১৪
Share:

খুদে ছাত্রীটির বাবা স্কুলের শিক্ষক। স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যত্র বদলি করায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বাবার এই ‘অপরাধে’ পাঁচ বছরের ছাত্রীটিকে সোমবার স্কুলে ঢুকতে না-দেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এ দিন রিষড়ার ওই বেসরকারি স্কুলে এই অভিযোগকে ঘিরে গোলমাল হয়। অন্য অভিভাবকেরা লোয়ার কেজি-র ছাত্রীটিকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ নরম হন। স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয় শিশুটিকে। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁর বাবা, স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ও কাজে যোগ দেন।

মানসবাবুর প্রশ্ন, ‘‘আমার বদলিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ গিয়েছে। কিন্তু সে জন্য আমার মেয়েকে কেন স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘অধ্যক্ষার নিষেধ রয়েছে জানিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা মেয়েকে ঢুকতে দেননি। আমাকেও বাধা দেওয়া হয়।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানসবাবু স্থগিতাদেশের কাগজ দেখাননি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাই কিছু বলব না।’’ কিন্তু শিশুটিকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না কেন? অধ্যক্ষার জবাব, ‘‘শিশুটিকে নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। একটা বিক্ষোভ তৈরি করা হয়েছিল।’’

Advertisement

চন্দননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, আদালত অন্য নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকার কথা। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ফলে, অন্য কোনও নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত মানসবাবু ওই স্কুলেই কাজ করতে পারেন।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস আগে মানসবাবুকে অন্যত্র বদলি করা হয়। মানসবাবু হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট বদলিতে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষও পাল্টা মামলা করেন। গরমের ছুটির পর এ দিন স্কুল খোলে। সকালে শিশুটিকে স্কুলে দিতে আসেন তার মা। এরপরেই গোলমালের সূত্রপাত। অভিভাবকদের দাবি, কেন শিশুটিকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে স্কুলের কর্মীরা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে। এর প্রতিবাদে তাঁরাও নিজেদের ছেলেমেয়েকে স্কুলের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন