সীমানা প্রাচীর দিতে বাধা, অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের

নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ভবনের চারপাশে সীমানা পাঁচিল দিতে চান স্কুল-কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ তাতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার নিলারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জাঙ্গিপাড়া শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

বাঁধন: এই স্কুলেই প্রাচীর দেওয়া নিয়ে উঠেছে আপত্তি। নিজস্ব চিত্র।

নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ভবনের চারপাশে সীমানা পাঁচিল দিতে চান স্কুল-কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ তাতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার নিলারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

জাঙ্গিপাড়ার প্রত্যন্ত এলাকার এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। স্কুলভবন লাগোয়া মাঠ রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সীমানা প্রাচীর না থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছে। স্কুল চলাকালীন গবাদি পশু থেকে উটকো লোকজন স্কুলের চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ে। তাতে পঠনপাঠনে অসুবিধা হয়। রাতের অন্ধকারে চুরির ঘটনাও ঘটেছে। সন্ধ্যার পরে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। স্কুলের পিছন দিয়ে ডাকাতিয়া খাল বয়ে গিয়েছে। ফি-বছর বর্ষায় খাল উপচে স্কুলের একতলা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

প্রধান শিক্ষক গৌতম বালি বলেন, ‘‘খোলা চত্বরে স্কুল হওয়ায় সাপখোপ ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে। গোখরো, কেউটের মতো বিষধর সাপ ক্লাসে ঢুকে পড়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। পাঁচিল থাকলে এই সব উপদ্রব অনেকটাই আটকানো যাবে।’’ তিনি জানান, মাঠের কিছুটা অংশ স্কুলের সম্পত্তি। বাকিটা সরকারি খাস জমি। দীর্ঘদিন ধরে ওই অংশ স্কুলই দেখভাল করে। কিছু দিন আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ চারপাশে পাঁচিল দেওয়ার জন্য আবেদন জানান প্রশাসনের কাছে। প্রধান শিক্ষকের দাবি, সম্প্রতি ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। পাঁচিল তৈরির জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩৮ লক্ষ টাকা। দিন কয়েক আগে হুগলি জেলা পরিষদের দুই বাস্তুকার মাপজোক করতে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় কিছু লোক তাঁদের বাধা দিলে তাঁরা ফিরে যান। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, এলাকার ছেলেমেয়েরা বিকেলে ওই মাঠে খে‌লাধূলা করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দিয়ে মাঠ ঘিরে দিলে তাদের খেলা বন্ধ হয়ে যাবে।

Advertisement

স্কুল কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, পাঁচিল দেওয়া হলেও বিকেলে যাতে ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলাধূলা করতে পারে সেই ব্যবস্থা অবশ্যই থাকবে। স্কুলের তরফে বিষয়টি প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।

বিডিও (জাঙ্গিপ‌াড়া) জামিল আখতার বলেন, ‘‘ওই স্কুলের চারধারে পাঁচিল দেওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি প্রস্তাব আকারে রয়েছে। এ ব্যাপারে যা করণীয় তা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন