স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, বান্ধবীর শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার চার

বছর চোদ্দোর এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং তার বান্ধবীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের রাজাপুর এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই দুই ছাত্রী গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঘটনাটি ঘটে। বাড়ি ফেরার পর রাতেই নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাদাতা

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৫৩
Share:

বছর চোদ্দোর এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ এবং তার বান্ধবীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের রাজাপুর এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই দুই ছাত্রী গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঘটনাটি ঘটে। বাড়ি ফেরার পর রাতেই নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা কেউ কাঠের, কেউ গ্রিল কারখানায় কেউ প্লাইউডের কাজ করে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ওই চারজন এর আগেও একাধিকবার তাদের বাড়ির মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত। তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন। পুলিশ তার ভিত্তিতেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বলে হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন জানিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুব্রত চক্রবর্তী, তপন জানা, দেবু জানা ও সুজন জানা। এদের মধ্যে বছর তিরিশের সুব্রত এবং তপন বিবাহিত। বাকি দু’জনের বয়স বছর কুড়ি। চার জনেরই বাড়ি স্থানীয় চকগাড়া গ্রামে। ধৃতদের মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অসুস্থ ছাত্রী এবং তার বান্ধবীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। দু’জনেই এসিজেএম আদালতের বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চোদ্দোর নির্যাতিতা স্থানীয় একটি হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার বিকেলে সে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। পরে সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল এক বান্ধবী। সেও নবম শ্রেণিতে পড়ে। পড়া হয়ে গেলে দু’জনে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল। গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে ফেরার রাস্তাটি অপেক্ষাকৃত নির্জন। নির্যাতিতা কিশোরীটি পুলিশকে জানিয়েছে, গৃহশিক্ষকের বাড়ি থেকে বিশ কিছুটা আসার পরে চার জন যুবক তাদের পথ আটকায়। তারপর মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে টেনে তাদের মাঠে নিয়ে যায়। একটি কালভার্টের পাশে ফেলে দিয়ে তাদের উপর অত্যাচার শুরু করে। তার মধ্যেই ওই ছাত্রীর বান্ধবী কোনওরকমে পালিয়ে রাস্তায় উঠে চিৎকার করতে শুরু করে। চিৎকার শুনে ওই ছাত্রীর দাদা গ্রামের লোকজনকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। অভিযোগ, তারই ফাঁকে দুই যুবক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। বান্ধবীর কাছে সব শুনে সাড়ে সাতটা নাগাদ আহত অবস্থায় মাঠ থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন তাঁর দাদা এবং প্রতিবেশীরা। রাতেই ওই ছাত্রী এবং তার বান্ধবীর পরিবার থানায় যান। দু’জনেরই পরিবার থেকে পুলিশরে কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন