গঙ্গায় পুলিশের তল্লাশি। —সুব্রত জানা।
বুধবার দুপুরে ফুলেশ্বরে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের দেহ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। এদিন সকাল থেকে রাজ্য পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর স্পিডবোট নিয়ে হুগলি নদীতে তল্লাশি চালায়। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশও লঞ্চ নিয়ে আলাদাভাবে তল্লাশি চালায়। তবে দেহ মেলেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ছাত্র মিন্টু মাইতি হাওড়ার শিবপুরের যশোদাময়ী আদর্শ বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি নাজিরগঞ্জের মৌড়িগ্রাম হালদার পাড়ায়। কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বুধবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ সে ফুলেশ্বরের বৈকুন্ঠপুরে গঙ্গায় স্নান করতে আসে। স্নান করতে গিয়েই সে তলিয়ে যায়। বন্ধুরা মিণ্টুর বাড়ির লোকজনকে খবর দিলে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং পুলিশ নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাওড়া শহর এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্র প্রতিদিন স্কুলের ইউনিফর্ম পরে দুপুরে এখানে চলে আসে। নদীর ধারে ইউনিফর্ম এবং বইখাতা রেখে তারা গঙ্গায় সাঁতার কাটে। তারপরে তারা ফিরে যায়। অনেকে আবার ভালমত সাঁতারও জানে না। কিন্তু স্থানীয় লোকজন নিষেধ করলেও তারা তাতে কান দেয় না। এদিন অবশ্য এই ঘটনার পর আর কোনও স্কুলের ছাত্রকে এখানে দেখা যায়নি।
মিণ্টুর কাকা রঞ্জিত মাইতি বলেন, ‘‘স্কুলে যাওয়ার জন্যই ও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপরে যে ফুলেশ্বরে চলে এসেছে তা জানি না।’’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ভাইপো সাঁতার জানত। তবুও কী ভাবে সে তলিয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। তাঁর দাবি, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না পুলিশ তা খুঁজে বের করুক। যদিও এই মর্মে কোনও অভিযোগ মিণ্টুর পরিবারের তরফে থানায় জমা পড়েনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।