শ্রীরামপুরের নার্সিংহোমে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের। ছবি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগৃহীত।
দশমীর ভোরে শ্রীরামপুরের এক নার্সিংহোমে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে আস্ফালন এবং কর্মীদের মারধরের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে দীপক সিংহ ওরফে পাঙ্গা এবং কৌশিক নাথ নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। এই নিয়ে ওই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।
তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, নার্সিংহোমের সিসিটিভি-র ফুটে্জে দীপককে সেখানকার এক কর্মীকে চড় মারতে দেখা গিয়েছে। কৌশিক হম্বিতম্বি করছিল। ঘটনার পরে তারা বিহারে পালায়। শুক্রবার রাতে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় ফিরছিল। ধৃতদের শনিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক সাত দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। দীপকের বাড়ি শ্রীরামপুরের মানিকতলার দে’বাগান এলাকায়। কৌশিক সতীশচন্দ্র ঘোষ লেনের বাসিন্দা।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তার দাবি, ‘‘ধৃতেরা রঞ্জিত সিংহ ওরফে কেলো নামে এক দুষ্কৃতীর শাগরেদ। দীপকের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তবে কৌশিকের নাম পুলিশের খাতায় ছিল না। আরও এক জনের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, নবমীর রাতে দীপকরা ছ’জন মোটরবাইকে চেপে বেরিয়েছিল। দশমীর ভোরে খটিরবাজারের কাছে তাদের মধ্যে দু’জন দুর্ঘটনায় জখম হয়। তাদের টোটো করে মানিকতলার ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া যায়। এক জনের আঘাত গুরুতর ছিল। ধৃতেরা পুলিশকে জানায়, নার্সিংহোমে আহতের উপযুক্ত চিকিৎসা হয়নি এবং অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড়েও দেরি হচ্ছিল। সেই কারণেই রাগের বশে তারা ওই কাণ্ড ঘটায়। গোটা ঘটনা নার্সিংহোমের সিসিটিভি-তে ধরা পড়ে। ঘটনার জেরে নার্সিংহোম-কর্মী এবং রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
তদন্তে নেমে এর আগে রাজেশ সিংহ নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বুধবার রাজেশের বাড়ি থেকে গুলিভর্তি একটি ওয়ান-শটার উদ্ধার হয়। ওই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়েই আইসিইউ-তে রাজেশ নার্স বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভয় দেখায় বলে তদন্তকারীদের দাবি।