আলোচনার মাঝেই এক কিশোরী নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলে উঠল। সে জানাল, পড়তে গিয়ে গৃহশিক্ষক বোঝানোর অছিলায় কী ভাবে তার শরীর স্পর্শ করেছিলেন। মেয়েটির সহপাঠী বলল, স্কুলে আসার সময় রোজই একটা ছেলে তাকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে। কিন্তু সে কথা সে এত দিন কাউকে বলতেই পারেনি।
শুক্রবার মেয়েদের নিয়ে শিবির চলছিল ভদ্রেশ্বরের একটি স্কুলে। সেখানেই কয়েক জন কিশোরীর মুখে উঠে আসে যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা। শিবিরের আয়োজন করেছিল হুগলি জেলা চাইল্ড লাইন। ওই দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও চন্দননগর মহকুমা প্রশাসন এবং ভদ্রেশ্বর থানার অফিসারেরা ছিলেন। এমন ঘটনা ঘটলে কী করতে হবে, তা নিয়ে তাঁরা ছাত্রীদের বোঝান। ছাত্রীদের তাঁরা বলেন, এমন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হলে বাড়ির বড়দের বলতে হবে। চাইল্ড লাইনে ফোন করেও সমস্যার কথা জানানো যেতে পারে। চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর গোপীবল্লভ শ্যামল বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন স্কুলেই এমন শিবির করি। মেয়েদের মুখে নানা সমস্যার কথা উঠে আসে। তাদের বোঝাই, পথেঘাটে কেউ তাদের উত্যক্ত করলে তারা যেন সেটা চেপে না রাখে। প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে।’’ ওই দফতরের লোকজনের কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ির আশপাশের পরিচিত লোকেদের দ্বারাও ছোটরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। শুধু মেয়েই নয়, ছোট ছেলেদের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে। নাবালকদের উপর যৌন হেনস্থা রুখতে আইনের বিশেষ ধারাও রয়েছে।