হরিপালের স্কুলে উত্তেজনা, ঘেরাও শিক্ষক

এক ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে স্কুলের একটি ঘরে আটকে রাখল ছাত্রেরা। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদেরও টির্চাস রুমে দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৯
Share:

তখনও চলছে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

এক ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে স্কুলের একটি ঘরে আটকে রাখল ছাত্রেরা। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকদেরও টির্চাস রুমে দীর্ঘক্ষণ আটক করে রাখে বলে অভিযোগ।

Advertisement

শুক্রবার হরিপাল কিংকরবাটি কৃষি বিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র দিনভর স্কুলের পঠন-পাঠন লাটে ওঠে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ স্কুলে পৌঁছলে প্রাথমিক ভাবে তাঁরাও বিভোক্ষের মুখে পড়ে ছাত্রদের। শেষ পর্যন্ত হরিপাল থানার ওসি মিন্টু সরকার ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পুলিশ উদ্ধার করে স্কুলের শিক্ষকদের। যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। চন্দননগরের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কিন্তু এদিন রাত পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগই ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরা দায়ের করেননি বলে জানায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিপালের কিংকরবাটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। বিষয়টি ছাত্রীটির অভিভাকদের তরফে প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঠিক ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট ভাবে লিখিত মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি বলে স্কুল পরিচালন সমিতির তরফে জানানো হয়েছে।

Advertisement

পুজোর ছুটির পরে স্কুল যথারীতি খোলে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার একদল ছাত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে জানতে চায়, শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ঠিক কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এরপরে প্রধান শিক্ষক সংশিষ্ট বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিলে তখনকার মতো তারা চলে যায়। এরপরে ফের ছাত্রেরা টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে যায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কথায় তারা কর্ণপাত করেনি বলে অভিয়োগ। এরপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। শিক্ষকদের নির্দিষ্ট ঘরে তাঁদেরও ঘেরাও শুরু হয়। এরপরে ছাত্রদের সঙ্গে অভিভাবকেরা যোগ দেয়। পরিস্থিতি ঘোরাল হওয়ায় প্রধান শিক্ষক পুলিশ ডাকেন। ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি বিক্রমজিৎ পাল বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নিয়ে পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই ওই সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন