ট্যাপকল অকেজো, চেঙ্গাইলের গ্রামে জলসঙ্কট

প্রবল গরমের মধ্যেই জল সঙ্কটে ভুগছে চেঙ্গাইলের দৈবখালি এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকার ট্যাপকলগুলি প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও ট্যাপকলে সরু সুতোর মতো জল পড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চেঙ্গাইল শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ০১:৫৮
Share:

প্রবল গরমের মধ্যেই জল সঙ্কটে ভুগছে চেঙ্গাইলের দৈবখালি এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরে উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই এলাকার ট্যাপকলগুলি প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনও কোনও ট্যাপকলে সরু সুতোর মতো জল পড়ছে। আবার কোথাও জলের চিহ্ন মাত্র নেই। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাজার থেকে জল কিনে খাচ্ছেন। অনেকে সাইকেল উজিয়ে পাশের গ্রাম থেকে জল ভরে নিয়ে আসছেন। পুরসভার কর্তারা জানান, ওই এলাকার জল সরবরাহকারী পাইপ লাইনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও সমস্যা জানা থাকলেও পুরসভা এখনও তার সমাধান করে উঠতে পারেনি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৈবখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছের জলের পাইপ লাইনটির যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দিয়েছে। ওই পাইপ লাইনের উপরেই চেঙ্গাইলের রায়পাড়া, মিদ্দেপাড়া, গোড়েপাড়া, সর্দারপাড়া-সহ বেশ কয়েকটি এলাকার জল সরবরাহ নির্ভর করে। তাই ওই এলাকাগুলি ট্যাপকলে ঠিক মতো জল যাচ্ছে না। ফলে পুকুরের জলেই গৃহস্থালীর কাজ, স্নান করতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রবল গরমে পুকুরের জলও কমে গিয়েছে। ফলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। রায়পাড়ার বাসিন্দা শুভজিৎ রায়ের ক্ষোভ, ‘‘পুকুরে জল কম। পাশের গ্রাম থেকে এক বালতি জল আনতে প্রায় দশ মিনিট লাগছে। ফলে দৈনন্দিন কাজের সময় নষ্ট হচ্ছে।’’ মিদ্দে পাড়ার বাসিন্দা মেহদি আলম জানান, তাঁর এলাকার ট্যাপকলগুলি দিয়ে ছিঁটেফোঁটাও জল পড়ছে না।স্থানীয় বাসিন্দা রূপা দাসের আশঙ্কা, ‘‘পুকুরের নোংরা জলে বাড়ির বাসন মাজতে হচ্ছে। এর ফলে শরীরে জীবানু সংক্রমণ হতে পারে।’’

Advertisement

সমস্যার কথা স্বীকার করে উলুবেড়িয়া পুরসভার জল বিভাগের মেয়র পারিষদ আকবর শেখের দাবি, ‘‘খারাপ পাইপলাইন সারানোর কাজ চলছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।’’

আশ্বাস কবে সত্যি হয়, সেটাই দেখতে চান এলাকাবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন