বন্যা রুখতে বালি মজুত হাওড়ায়

সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, বন্যার সময় বালি সহজে পাওয়া যায় না। ফলে, বাঁধ মেরামতিতে অসুবিধা হয়। সেই কারণে আগে থেকে বালি মজুত করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা এই প্রথম। বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করতে কাল, সোমবার আমতায় আসছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ১০:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

লাগাতার বৃষ্টিতে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা সে ভাবে জলমগ্ন হয়নি। তবে, পরিস্থিতির যাতে অবনতি না-হয় এবং বন্যা হলে তার প্রতিরোধে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর। ইতিমধ্যেই মজুত করা হয়েছে তিন হাজার কিউবিক ফুট বালি। রয়েছে বালির বস্তাও।

Advertisement

সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, বন্যার সময় বালি সহজে পাওয়া যায় না। ফলে, বাঁধ মেরামতিতে অসুবিধা হয়। সেই কারণে আগে থেকে বালি মজুত করা হয়েছে। এমন ব্যবস্থা এই প্রথম। বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করতে কাল, সোমবার আমতায় আসছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলি জেলার পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে সেই বৈঠকে। সে দফতর জানিয়েছে, দুই জেলার জেলাশাসক, সভাধিপতি এবং বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলির বিধায়করাও বৈঠকে থাকবেন।

Advertisement

মূলত আমতা-২ এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লক হাওড়ায় বন্যাপ্রবণ এলাকা। ডিভিসি ১ লক্ষ কিউসেকের উপরে জল ছাড়লেই দু’টি ব্লক ভেসে যায়। এই দুই ব্লকের উপর দিয়ে যাওয়া দামোদরের বাঁধ এবং মজা দামোদর ও লোয়ার রামপুর খাল ইতিমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। এর পরেও বন্যা হলে তৎক্ষণাৎ বাঁধ মেরামতির জন্য ৪০ হাজার বালির বস্তা মজুত রাখা হয়েছে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে। সারা হয়েছে ঠিকাদার নির্বাচনের কাজও।

সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, এখন দামোদরের জলের উচ্চতা আড়াই মিটারেরও কম। কোনও বিপদ নেই। কিন্তু ডিভিসি জল ছাড়লে মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সর্বত্র ত্রাহি রব ওঠে। সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে তার পরিকল্পনাই আগে থেকে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন