আবর্জনা পোড়ানোর নির্দেশ দিয়ে বিপাকে পঞ্চায়েত

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খালে নিয়মিত আশপাশের আবর্জনা ফেলা হয়।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

ধনেখালি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৫৯
Share:

বিতর্ক: এই পোস্টার ঘিরেই সমস্যা। নিজস্ব চিত্র

আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল খালে। দূষিত হচ্ছিল পরিবেশ। খালটিও বুঝে যাচ্ছিল। সেই সমস্যা মেটাতে গিয়ে আবর্জনা খালে না ফেলে পুড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিল পঞ্চায়েত! সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে হরিপালের গোপীনাথপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, ওই পোস্টারের বিষয় তাদের না জানিয়েই তৈরি করা হয়েছিল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই খালে নিয়মিত আশপাশের আবর্জনা ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে বার বার পঞ্চায়েতে অভিযোগ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এরপর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ওই পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ‘‘আবর্জনা পু়ড়িয়ে দিলে হয়তো এলাকা সাফাই হবে, কিন্তু যে ধোঁয়া তৈরি হবে সেটা অনেক বেশি বিপদ ডেকে আনবে।’’ বিষয়টি জানাজানি হতেই হুগলিতে পরিবেশপ্রেমী কয়েকটি সংগঠন বিষয়টি পুলিশের নজরে নিয়ে আসে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

Advertisement

আর্বজনা পোড়ানোর ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর। গত শীতেই ধোঁয়াজনিত দূষণের জন্য দিন কয়েকের জন্য দিল্লি প্রায় স্তব্ধ গিয়েছিল। পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত চালাব কিন্তু পরিবেশ নিয়ে প্রাথমিক ভাবনাচিন্তা এবং পরিবেশ সচেতনতা রাখব না, সেটা ঠিক নয়। নিজেরা না জানলে মানুষকে কী ভাবে সচেতন করবেন? বাস্তব হচ্ছে, ধোঁয়ার কারণে মারাত্মক দূষণ হয়।’’

ঘটনাটি স্বীকার করলেও দায় নিজেদের ঘাড়ে নিতে নারাজ গোপীনাথপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান দীপঙ্কর মালিক। তিনি বলেন, ‘‘একটি সংস্থা আমাদের কোনও অনুমতি না নিয়েই ওই ধরণের পোস্টার লাগিয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরে সেগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন