যানজটে ভোগান্তি অব্যাহত

হুগলিতে দুই উড়ালপুলের কাজে গতি নেই, অভিযোগ

কামারকুণ্ডু লেভেল ক্রসিংয়ে একবার গেট পড়লে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, যানজটে আটকে থাকা গাড়ির লাইন পৌঁছে যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কামারকুণ্ডু শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০১:২৬
Share:

অসমাপ্ত: কামারকুণ্ডু উড়ালপুল। ছবি: দীপঙ্কর দে

যানজটের যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে পরিকল্পনা করা হয়েছিল উড়ালপুলের। বছর তিনেক আগে সেই উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরুও হয়। তবে অভিযোগ, প্রশাসনের ঢিলেমিতে সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। কামারকুণ্ডু ও নালিকুল, দু’টি জায়গাতেই লেভেল ক্রসিংয়ে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

কামারকুণ্ডু লেভেল ক্রসিংয়ে একবার গেট পড়লে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, যানজটে আটকে থাকা গাড়ির লাইন পৌঁছে যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত। নিত্য ভোগান্তি হয় মানুষের। যানজট কমাতে ২০১৬ সালে লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়। সর্বাধিক তিন বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে এবছরই। তবে এলাকাবাসীরা বলছেন, কাজ বাকি অনেকটাই। অভিযোগ, রেল ও পূর্ত দফতরের দীর্ঘসূত্রতায় প্রাথমিকভাবে কাজে কোনও গতিই ছিল না। তারপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাপে পূর্ত দফতর রাস্তার উপর তাদের অংশের কাজ অনেকটাই শেষ করে। কিন্তু রেল লাইনের উপরের কাজ এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি।

তারকেশ্বর শাখার নালিকুলেও উড়ালপুলের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় একই সময়ে। কিন্তু সেই কাজেও গতি নেই বলে অভিযোগ। ওই পথে রেলের লেভের ক্রসিংয়ের কাছেই হিমঘর রয়েছে। ফলে একবার গেট পড়লে পরপর পরপর আলুবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। উড়ালপুল না হওয়ায় মানুষের সেই নিত্য ভোগান্তি চলছেই।

Advertisement

লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ির ভিড়। ছবি: দীপঙ্কর দে

কামারকুণ্ডু ও নালিকুলে উড়ালপুলের আরও একটি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ওই পথ দিয়েই তারকেশ্বরে যান শ’য়ে শ’য়ে পুণ্যার্থী। শ্রাবণ মাসে ভক্তদের সেই ভিড় মারাত্মক চেহারা নেয়। উড়ালপুল না থাকায় ওই ক’দিন যানজট আরও বাড়ে। স্থানীয়রা বলছেন, এখন প্রায় সারা বছরই ধর্মপ্রাণ মানুষ ওই পথে তারকেশ্বরে যাচ্ছেন। উড়ালপুল হলে তাদেরও সুবিধা হবে।

হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা দু’টি পুলের ক্ষেত্রেই আমাদের অংশের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। রেলের কাজটা বাকি। সেই অংশের কাজ রেল কীভাবে করবে, তার ম্যাপ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।’’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল লাইনের অংশ জোড়ার কাজের ম্যাপ তৈরি করে রাজ্য সরকারকে দেওয়া হবে। দু’পক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই কাজ হবে। রেলের অংশের কাজ করতে কত সময় লাগতে পারে? এক আধিকারিক জানান, কাজ কীভাবে, কবে হবে, তার পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত নয়। তাই কোনও সময়সীমা এখনই নির্ধারিত হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন