উন্মুক্ত: খোলা আকাশের নীচে খুদেদের পড়াশোনা। নিজস্ব চিত্র
খোলা আকাশের নীচে চলছে অঙ্গনওয়াড়ির লেখাপড়া। চলছে শিশুদের খাওয়াদাওয়াও। পাশেই আবর্জনার স্তূপ।
নিয়মিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নজরদারি চলছে কি না, হুগলির প্রশাসনিক বৈঠকে জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পান্ডুয়ায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাঠেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সামনেই বর্ষা। ফলে দুর্ভোগ বাড়বে শিশুদের। কিন্তু প্রশাসনের নজর নেই।
সকাল সাড়ে সাতটা বাজতেই ঘুম থেকে উঠে পৌঁছে যেতে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ৩৭ জন বাচ্চার নাম লেখানো থাকলেও পড়তে আসে আট থেকে দশ জন। সকাল ন’টায় তাদের খেতে দেওয়া হয় চিনি দিয়ে ছাতুর গোলা। দশটা থেকে সাড়ে দশটা নাগাদ খিচুড়ি। সপ্তাহে তিন দিন করে অর্ধেক ডিম পায় তারা। সঙ্গে চলে খেলা আর ছড়া বলে পড়াশোনা।
কেন্দ্রটির ইন-চার্জ ফিরোজা খাতুনের কথায়, “আমি ১৯৮৫ সাল থেকে বাচ্চাদের পড়াই। আমার সেন্টার ০৯৭ নম্বরে, পূর্ব বালিহাট্টায়। এখানে কোনও ঘর নেই, কেউ ভাড়া দেয়নি। ফুটবল মাঠের ধারে একটি ক্লাবে বেশ কয়েক বছর বাচ্চাদের পড়াতাম। কিন্তু ২০১০ সালে আমাদের তুলে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়েই এই পরিবেশে বাচ্চাদের পড়াচ্ছি। আমরা নিরুপায়।” অভিযোগ, বিডিও এবং অঙ্গনওয়াড়ির অফিসে জানিয়েও ফল হয়নি। তারা কিছু ভাবছে না। তিনি আরও বলেন, “বাচ্চাদের খাবার রান্না করতে হয় অনেকটা দূরে। সেখান থেকে নিয়ে আসতে হয় প্রতি দিন। ফলে কেন্দ্রটি চালানো বেশ কষ্টকর।” পান্ডুয়ার বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।