উচ্ছ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় সাত মাস পর খুলল ফুলেশ্বরের ঊষা কর্পোরেশন নামে সুতোকল। বুধবার কারখানার গেটে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন। পুজোর আগে মিল স্বস্তি পেলেন সাতশো শ্রমিক। মিল সূত্রে খবর, প্রথমে শ’দেড়েককে কাজে নেওয়া হবে। পরে ধীরে ধীরে বাকি শ্রমিকদের নেওয়া হবে। তবে পুরো মাত্রায় উৎপাদন শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লেগে যাবে বলে কারখানা কর্তারা জানিয়েছেন।
তবে স্থানীয় সিটু নেতা মোহন মণ্ডল বলেন, ‘‘১০০ বা ১৫০ জনকে নয়, আমরা চাই সব শ্রমিককে প্রথম থেকেই কাজে নেওয়া হোক।’’
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মিলটি বন্ধ ছিল। ওই দিন সকালের শিফটে কাজে যোগ দিতে এসে কর্মীরা দেখেন গেটে মালিকপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছেন। মালিক পক্ষের তরফে এই নোটিস দেওয়ার কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছিল, মিলে পণ্য উৎপাদন যথাযথ হচ্ছে না। লোকসান হচ্ছিল মিলের। এ ছাড়া মিলের ভিতরের বেশ কিছু ঘর ও জমি জবরদখল করে রেখেছেন কিছু লোক। নদীর ভাঙনেও মিলের ক্ষতি হচ্ছিল। সেচ দফতর বা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ওই নোটিস দেখে হতাশ হয়ে কমীরা বাড়ি ফিরে যান। অনেক শ্রমিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার মিল খোলার খবর পেয়ে শ্রমিকরা গেটের সামনে জড়ো হন। আবির খেলেন।
মিলের তরফে এক কর্তা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালের শিফট থেকেই শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন।’’
এ দিন মিল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে যে সব ইউনিটগুলি লাভে চলছিল সেইগুলিই চালু করা হচ্ছে। পরে বাকি ইউনিটগুলির পরিকাঠামোগত উন্নতি করে চালু করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনও জায়গা জবরদখল ও ভাঙন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এ দিনই মালিক, শ্রমিক পক্ষ ও প্রশাসনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তার পরেই মিল খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই মিলের আইএনটিটিইউসির সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘মিল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। মিল কর্তৃপক্ষকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শ্রমিক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরও পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।’’