প্রতীকী ছবি।
শাসকদলের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য আজ, শনিবার দুই জেলাতেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। পণ্য়বাহী গাড়িকে কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। অবশ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়িকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৩টে থেকেই এ জন্য পথে নামে দুই জেলার পুলিশ। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘পণ্যবাহী গাড়িকে পুলিশ কলকাতায় ঢুকতে নিষেধ করবে। তা ছাড়া সব গাড়ি যেতে পারবে। কলকাতা পুলিশ আমাদের যেমন নির্দেশ দেবে, সেইমতো কাজ হবে।’’
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবারই কলকাতা থেকে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী এসে গিয়েছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়াও দিল্লি রোড, জিটি রোড-সহ হুগলির জেলার সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বাড়তি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। হাওড়া ও হুগলির গ্রামীণ পুলিশও যান নিয়ন্ত্রণে নেমেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে বাড়তি গাড়ির জন্য মাঝেমধ্যেই যানজট হয়। পুলিশ হিমসিম খায়। চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, শুধু ওই টোলপ্লাজা কেন, পালসিট থেকেই পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ করবে।
শুক্রবার থেকেই অবশ্য হুগলির বিভিন্ন রুটের বহু বাস ব্রিগেডের জন্য সাজছে। ফলে, পথে বেরিয়ে ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। আজ, জলপথেও ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের। হুগলি জেলা তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলা থেকে ছ’টি লঞ্চে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ব্রিগেড যাবেন। উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন ঘাট থেকেও সরাসরি নৌকায় ব্রিগেডে যাবেন বহু তৃণমূল কর্মী। বাউড়িয়া, চেঙ্গাইল, উলুবেড়িয়া, জগদীশপুর, হিরাগঞ্জ, হিরাপুর প্রভৃতি ঘাট থেকে নৌকা ছাড়বে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। নৌকাগুলি সরাসরি চলে যাবে বাবুঘাট। তবে, এ জন্য ফেরি পরিষেবা ব্যাহত হবে না বলে দাবি করেছেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘মাটি কাটা, মাছ ধরা এইসব নৌকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ফেরি পরিষেবার নৌকায় হাত দেওয়া হয়নি। নদীপথে নিরাপত্তার দিকটিও নজরে রাখা হবে।’’