খানাকুলে ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষ তৃণমূলের

তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করলেন, কোথাও কোনও ঝগড়াঝাঁটি নেই তো! স্বপনবাবু জানালেন, আর কোথাও কোনও সমস্যা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০২:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গুড়াপে তখন চলছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করলেন, কোথাও কোনও ঝগড়াঝাঁটি নেই তো! স্বপনবাবু জানালেন, আর কোথাও কোনও সমস্যা নেই।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে যখন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এই বাক্য বিনিময় চলছে, ঠিক তখনই খানাকুলের রাধাবল্লভপুর ও সংলগ্ন গ্রামগুলিতে চলছে সংঘর্ষ— তৃণমূলের মূল সংগঠন এবং যুব সংগঠনের মধ্যে। পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করল দু’পক্ষই। অভিযোগ, দু’পক্ষের প্রায় ১২ জন জখম হয়েছেন। প্রহৃতদের মধ্যে রয়েছেন খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল যুব-র কার্যকরী সভাপতি দীনেশ রানা এবং তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ রানা। তাঁরা দু’জনেই সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষকেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, পারিবারিক বিবাদ থেকেই ওই সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর রয়েছে তাঁদের কাছে। তবে দলেরই একাংশের নেতা স্বীকার করে নিচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দুই সংগঠন প্রায়ই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সংগঠন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছে প্রায় দু’মাস ধরে। অশান্তিও চলছে সেই থেকে। সে বিষয় নিয়েই এ দিন বিকালে রাধাবল্লভপুরে ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি দীনেশ রানাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মূল সংগঠনের নেতা প্রদীপ রানার বিরুদ্ধে। এরপরেই দু’পক্ষের লোক জমায়েত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায় বলে অভিযোগ। অথচ ওই দুই নেতাই দাবি করেছেন, বিনা প্ররোচনায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন