দলীয় কর্মীকেই মার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত কোন্নগরের প্রসাদময়ী দেবী লেনে ফ্ল্যাটে থাকেন। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৩
Share:

দলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতা এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে কোন্নগরের ঘটনা। প্রহৃতের নাম সুশান্ত পাত্র ওরফে গুড্ডু। মূল অভিযুক্ত অজিত চক্রবর্তী ওরফে বেবো কোন্নগর শহর তৃণমূলের সভাপতি। অজিত, তাঁর ছেলে-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রহৃতের স্ত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুশান্ত কোন্নগরের প্রসাদময়ী দেবী লেনে ফ্ল্যাটে থাকেন। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, বাড়ির কিছু আগে দুর্গামঞ্চের সামনে বেবোর নেতৃত্বে বেশ কয়েক জন তাঁকে আটকে বাঁশ, রড দিয়ে পেটায়। তাঁর মাথা ফেটে যায়। সুশান্তর স্ত্রী সুস্মিতাদেবীর অভিযোগ, ‘‘চিৎকার শুনে বেরিয়ে দেখি আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে। হামলাকারীরা ওর গায়ে বাইকও তুলে দিচ্ছিল। তার পরে মোবাইল ফোন এবং পকেট থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।’’ এরপর সুশান্তবাবুকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

শনিবার সুস্মিতাদেবী উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সুশান্তর অভিযোগ, ‘‘এক সময় আমি বেবোদার সঙ্গেই থাকতাম। কিন্তু কিছু বিষয় পছন্দ না হওয়ায় তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করি। সেই কারণেই উনি হামলা করলেন‌।’’

বেবো অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘গুড্ডুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছিল। বিধায়ক প্রবীর ঘোষালও ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ক্লাব থেকে বের করে দিই। আমাকে যাঁরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করেন, গুড্ডু তাঁদের সঙ্গে মিশে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফিরে দেখেন, গুড্ডু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জানতে পারেন, সে এলাকায় হাঙ্গামা করছিল। বেবোর কথায়, ‘‘এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা বের করুক।’’

দলের জেলা সভাপতি তথা কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠন মজবুত করার কথা বলছেন। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে কিছু জায়গায় এক শ্রেণির নেতার জন্য সেটা হচ্ছে না। এই সব বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন