বৈঠকই সার, বহাল তৃণমূলের দ্বন্দ্ব

চেষ্টা করেছিলেন দলের জেলা (সদর) সভাপতি। বৈঠক ডেকে যুযুধান দু’পক্ষকে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও হাওড়ার সাঁকরাইলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৬ ০২:০৬
Share:

চেষ্টা করেছিলেন দলের জেলা (সদর) সভাপতি। বৈঠক ডেকে যুযুধান দু’পক্ষকে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও হাওড়ার সাঁকরাইলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটল না।

Advertisement

জেলার রাজনীতিতে সাঁকরাইলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই এলাকায় বিদায়ী বিধায়ক তথা এ বারেরও প্রার্থী শীতল সর্দার এবং তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপেশ ভট্টাচার্যের সমান্তরাল সংগঠন রয়েছে। নির্বাচনের মাস কয়েক আগে দু’পক্ষই আলাদা করে সম্মেলন করেছিল। শীতলবাবু ফের প্রার্থী হওয়ায় দলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নয়। প্রার্থী বদল না হলে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার হুমকিও দেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতা করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের জেলা (সদর) সভাপতি অরূপ রায়ের বাড়িতে বৃহস্পতিবার শীতলবাবু এবং তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে সব গোষ্ঠীকে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অরূপেশবাবুকে সভাপতি করে সাঁকরাইলের নির্বাচনী কমিটি গড়ার জন্য শীতলবাবুকে নির্দেশ দেন অরূপবাবু। অরূপবাবু জানান, এর ফলে সমস্যা মিটে যাবে বলে তাঁর আশা। কিন্তু জেলা সভাপতির এই নির্দেশের পরেও সমস্যা আদৌও মিটবে কিনা, দলের অন্দরেই সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। কারণ, দলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা পরে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দিঘড়ায় শীতলবাবু একটি বৈঠক করেন। সেখানে তাঁর অনুগামী নেতা-কর্মীরাই শুধুমাত্র হাজির ছিলেন। বিরোধী গোষ্ঠীর কাউকে সেখানে ডাকা হয়নি। সেখানে ঠিক হয় দলের জেলা কমিটির সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র চন্দ্রকে সাঁকরাইল নির্বাচনী কমিটির সভাপতি করা হবে। খবরের সত্যতা স্বীকার করলেও কৃষ্ণচন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘ফোন করে একজন জানান, আমাকে শীতল সর্দারের নির্বাচনী কমিটির সভাপতি হতে হবে। ২০১৪ জানুয়ারিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত আমি টানা জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম। এত দুরবস্থা হয়নি যে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী কমিটির সভাপতি হয়ে কাজ করতে হবে।’’ শীতলবাবুর দাবি, ‘‘অরূপেশবাবুকে নির্বাচনী কমিটির সভাপতির পদটি নিতে বলা হলেও তিনি রাজি হননি। তাই কৃষ্ণবাবুর নাম নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি।’’ অরূপেশবাবু জানান, জেলা সভাপতির নির্দেশ ছিল, সকলকে নিয়ে বৈঠকে বসে নির্বাচনী কমিটি গড়বেন বিধায়ক। বৈঠক হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন