Howrah

হাওড়ায় বনসৃজন প্রকল্পের গাছ নষ্ট

পঞ্চায়েত গাছ দেখভাল করল না কেন, তার জবাব মেলেনি। চণ্ডীপুরের পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল মোল্লাকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:১৭
Share:

বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের বোর্ড— ছবি: সুব্রত জানা।

গত বছরের শেষ দিকে ঘটা করে গাছ লাগানো হয়েছিল উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর গার্লস প্রাথমিক স্কুল চত্বরে। পঞ্চায়েতের সেই কাজের সাক্ষ্য দিচ্ছে শুধু সাইনবোর্ড। গাছ আর নেই। দেখভালের অভাবে সব মরে গিয়েছে। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ১০০ দিনের প্রকল্পে ওই কাজে লাভ কী হল, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে স্কুল বন্ধ। লকডাউন গিয়েছে। আমপান গিয়েছে। গাছের যত্ন করতে পঞ্চায়েতের তরফে কাউকে দেখা যায়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘‘গত বছরের শেষ দিকে কয়েকজন মজুর এসে বেশ কিছু গাছ পুঁতে দিয়ে যান। কোনও ঘেরাটোপ ছিল না। ফলে, বেশ কিছু গাছ গরু-ছাগলে খেয়ে নেয়। লকডাউনে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তাই স্কুলের পক্ষ থেকে দেখভাল করা সম্ভব হয়নি।’’

Advertisement

পঞ্চায়েতের সাইনবোর্ড বলছে, ওই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৫৫০ টাকা। যদিও কত গাছ লাগানো হয়েছিল তার উল্লেখ নেই। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত কাজের নাম করে টাকা লুটেছে। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা শঙ্কর মাইতি বলেন, ‘‘বিরোধীদের না জানিয়ে কাজ চলছে। অনেক সময় কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে।’’

পঞ্চায়েত গাছ দেখভাল করল না কেন, তার জবাব মেলেনি। চণ্ডীপুরের পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল মোল্লাকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না। খতিয়ে দেখা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement