নাকাল: আরামবাগে যানজট। ছবি: মোহন দাস
ব্যাঙ্কে কাজ সারতে এসেছিলেন প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বাইকে সওয়ার হয়েই আসেন তিনি। কিন্তু পার্কিংয়ের কোনও ব্যবস্থাই নেই সেখানে। অগত্যা রাস্তার উপরেই বাইকটি রাখেন প্রভাতবাবু। তৈরি হয় যানজট। আর আরামবাগ লিঙ্করোডের নিত্য দিনের চিত্র এটাই।
কিছু দিন আগেই এই লিঙ্করোডের সংস্কার হয়ে সেজে উঠেছে আরামবাগ শহর। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দু’ধারে নতুন করে তৈরি হয়েছে ফুটপাথ। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য নর্দমাও তৈরি হয়েছে। সবই ভাল। তবে সমস্যা রাস্তার উপর বেআইনি পার্কিং। আরামবাগের গৌড়হাটি মোড় থেকে বসন্তপুর মোড় পর্যন্ত লিঙ্করোডের ধারে ১০টি ব্যাঙ্ক রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির নির্দিষ্ট পার্কিং না-থাকায় গাড়ি, বাইক, সাইকেল পার্কিং করা হয় রাস্তার উপরেই। ফলে দু’লেন রাস্তা ক্রমশ সরু হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। রাস্তা সংস্কার হওয়ার আগে রাস্তার গায়েই ফাঁকা জায়গায় পার্কিং হতো। নবনির্মিত নর্দমা ও ফুটপাত রাস্তার থেকে উঁচু হওয়ায় রাস্তার উপরেই চলছে পার্কিং। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কোনও কোনও ব্যাঙ্কের সামনে অনেকটা করে ফাঁকা জায়গা ছিল। কিন্তু রাস্তার এই দু’ধারের ফুটপাত কোথাও ৬ ফুট, কোথাও ৮ ফুট কোথাও আবার ১০ ফুট চওড়া করা হয়েছে। এর ফলেই সঙ্কট।
এ ব্যাপারে দায়সারা মনোভাব পুরসভার। এই রাস্তার এক দিক দিয়ে যাওয়া যায় বর্ধমান, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর। অন্য দিক দিয়ে তারকেশ্বর ও কলকাতা। প্রতিনিয়ত চলে কয়েক হাজার গাড়ি। ফলে নিত্য দিনের যানজটে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
এলাকার বাসিন্দা কল্যাণ চৌধুরী জানিয়েছেন, রাস্তায় যানজট হচ্ছে জেনেও বাইক রাখতে হচ্ছে, কিন্তু উপায়ও তো নেই! এখানে একটি নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হলে ভাল হত। পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বক্তব্য, ফুটপাত তো করতেই হবে, তবে যত দ্রুত সম্ভব পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।