বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাকে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত, সদ্য অপসৃত টিএমসিপি-র হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি তুষারকান্তি ঘোষ-সহ তিন জনকে ১০ দিনের জেল-হাজতের নির্দেশ দিল হাওড়া আদালত। রবিবার দুপুরে আন্দুল স্টেশন সংলগ্ন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে রাতেই তুষার এবং তৃণমূল নেতা চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার সকালে ধরা হয় তুষারের আত্মীয় সৌরভ বড়ালকে। তিন জনকেই এ দিন হাওড়া আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে পেশ করা হয়। তুষারের আইনজীবী বিচারকের কাছে তাঁর জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। আদালতে পেশ করা পুলিশের রিপোর্টে তুষারের অতীত ইতিহাস হিসেবে আন্দুল প্রভু জগদ্বন্ধু কলেজের এসএফআই নেতা স্বপন কোলে হত্যায় অভিযুক্ত থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে। কেস রিপোর্টে তুষারের অতীত ইতিহাস হিসেবে স্বপন কোলে হত্যার ঘটনায় তাঁর না জড়িয়ে যাওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এটি কোনও ভাবেই ওই মামলাকে যুক্ত করে দেওয়া নয়। ওই ঘটনার নতুন করে তদন্তের সম্ভাবনা নেই।’’ এ দিন টিএমসিপি-র কয়েকজন সমর্থক হাওড়া আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন। তুষারের জামিন নাকচ হয়ে যাওয়ার পরে হতাশ গলায় তাঁদের বলতে শোনা যায়, ‘‘জেলা তৃণমূলের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী দাদাকে ফাঁসিয়ে দিল।’’