নিয়ম ভাঙার অভিযোগ

হুগলিতে দু’টি নার্সিংহোম বন্ধ

কোনও নার্সিংহোমে আরএমও (‌‌রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার) নেই। কোনওটির লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৭
Share:

কোনও নার্সিংহোমে আরএমও (‌‌রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার) নেই। কোনওটির লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে।

Advertisement

কোথাও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সের অভাব। কোথাও নেই আইসিসিইউ।

এমনই নানা অভিযোগে হুগলির বলাগড়ে ২টি নার্সিংহোম আপাতত কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গে জেলার ৮টি নার্সিংহোমকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। রাজ্যে শিশু পাচার কাণ্ড সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। শুরু হয় জেলার নার্সিংহোম এবং ক্লিনিকগুলি পরিদর্শন। ৪টি মহকুমায় নার্সিংহোমগুলিতে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলার নার্সিংহোমগুলি যাতে সরকারি বিধি মানে, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। নিয়মভাঙা নার্সিংহোমগুলির ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি কমবেশি অন্তত ১৫০টি নার্সিংহোম চালু আছে। চিকিৎসার জন্য স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি বহু ক্ষেত্রেই সরকারি হাসাপাতালের থেকে ওই সব নার্সিংহোমগুলির উপরই বেশি ভরসা রাখতে অভ্যস্ত। মানুষের নির্ভরতার সুযোগ নিয়ে অনেক সময় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ নিয়ম ভাঙেন— এমন অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। এর জন্য অবশ্য নজরদারির ক্ষেত্রে সরকারি শিথিলতাকে বহু ক্ষেত্রে দায়ী করেছেন লোকজন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘শুধু নজরদারির অভাব তাই নয়, বহু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের এক শ্রেণির অসাধু কর্মীদের সঙ্গে নার্সিংহোমগুলির বোঝাপড়া থাকে। তাঁরা সব কিছু জেনে দেখেও, দেখেন না অনেক কিছু। তার ফলে নার্সিংহোমগুলির পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না।’’

শিশু পাচর কাণ্ডের পরে নজরদারি বেড়েছে। ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু হয়েছে। যেমন তারকেশ্বর অঞ্চলের একটি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য দফতর বেড কমিয়ে দিয়েছে। এক নার্সিংহোম কর্তার দাবি, ‘‘আমাদের উপর দোষারোপ করা হয়। কিন্তু অনেক সময় রোগীর শারীরিক অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে বাধ্য হয়ে মানবিকতার কারণে রোগী ভর্তি নিতে হয়।’’ যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার সাফ জবাব, ‘‘নিয়মভাঙা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। কারণটা যাই হোক না কেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন