টোটো বিক্ষোভে ফের অশান্তি

আধ ঘণ্টা এই অবস্থা চলার পরে ঘুসুড়ির টোটোচালকেরা গিরিশ ঘোষ রোডে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাতেই স্থানীয় টোটোচালকদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। তা গড়ায় মারামারিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫২
Share:

আটকে: তখনও চলছে অবরোধ। শুক্রবার, বেলুড়ে। নিজস্ব চিত্র

জি টি রোডের পরে বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোড। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার। আবারও টোটোচালকদের মধ্যে মারামারি, তার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ। হাওড়াগামী একমাত্র রাস্তায় প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা এই গোলমালে চূড়ান্ত নাজেহাল হলেন সাধারণ মানুষ। ব্যাহত হল যান চলাচল। অভিযোগ, বিক্ষোভ-অবরোধ তুলতে গেলে নিস্তার মেলেনি পুলিশেরও। যদিও টোটোচালকদের পাল্টা দাবি, পুলিশই তাদের মারধর করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গিরিশ ঘোষ রোডের কুলি লাইন স্টপে যাত্রী নামাচ্ছিলেন এক টোটোচালক। তখন ওই রাস্তায় থাকা টোটোস্ট্যান্ডের চালকেরা আপত্তি জানান। দাবি করেন, অন্য এলাকার টোটো ওখানে ঢুকতে পারবে না। অভিযোগ, এর পরে অন্য এলাকার কোনও টোটো গিরিশ ঘোষ রোডে ঢুকলেই সেগুলি আটকে ভাঙচুর শুরু করেন স্থানীয় কিছু টোটোচালক। যাত্রীদের মাঝরাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়, চড়-থাপ্পড় মারা হতে থাকে চালকদের। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরাও। স্থানীয় এক দোকানদার প্রতিবাদ জানালে তাঁকেও টোটোচালকেরা মারধর করেন বলে অভিযোগ।

আধ ঘণ্টা এই অবস্থা চলার পরে ঘুসুড়ির টোটোচালকেরা গিরিশ ঘোষ রোডে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাতেই স্থানীয় টোটোচালকদের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। তা গড়ায় মারামারিতে। বেলুড় থানার পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে যেতে থাকে। ঘুসুড়ির টোটোচালকেরা গিরিশ ঘোষ রোডের চালকদের আচরণের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন। অবরোধে সামিল হল স্থানীয় বাসিন্দারাও। এর ফলে বালি থেকে হাওড়া যাওয়ার একমাত্র ওই রাস্তাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অগত্যা জি টি রোড দিয়েই দ্বিমুখী গাড়ি চালাতে হয় পুলিশকে। তাতে তৈরি হয় যানজট।

Advertisement

পুলিশ জানায়, অবরোধ তুলতে গেলে তাদেরকেই ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন টোটোচালকেরা। পরে অন্যান্য থানা থেকে বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। যদিও টোটোচালকদের অভিযোগ, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদেরই মারধর করতে শুরু করে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

প্রায় দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। প্রতিনিয়ত টোটোর এই দৌরাত্ম্য মেনে নেওয়া হবে না। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন