বাইকে থামানোর সময় দুর্ঘটনা

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর তারকেশ্বরে

বৈধ কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য রাস্তায় গাড়ি ধরছিল পুলিশ। হাত দেখানো সত্ত্বেও একটি মোটরবাইক না দাঁড়ানোয় এক পুলিশকর্মী লাঠি চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তাতে বাইকের দুই সওয়ারি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। উল্টোদিক থেকে একটি বাইক এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। তার জেরে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। রাস্তা অবরোধ করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় তারকেশ্বরের বিষ্ণুবাটি এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৯
Share:

ভাঙচুর হওয়া পুলিশের গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

বৈধ কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য রাস্তায় গাড়ি ধরছিল পুলিশ। হাত দেখানো সত্ত্বেও একটি মোটরবাইক না দাঁড়ানোয় এক পুলিশকর্মী লাঠি চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তাতে বাইকের দুই সওয়ারি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। উল্টোদিক থেকে একটি বাইক এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। তার জেরে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। রাস্তা অবরোধ করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় তারকেশ্বরের বিষ্ণুবাটি এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানেনি। তাদের দাবি, ওই বাইকটি অত্যন্ত গতিতে যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি বাইকে ধাক্কা মেরে সেটি উল্টে যায়। তাতেই বাইকের দুই সওয়ারি জখম হন। পুলিশকর্মীরা বাইকটিকে আটকানোর জন্য লাঠি চালিয়েছেন, এই অভিযোগ সঠিক নয় বলেই পুলিশের দাবি।

ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই পুলিশ বাইক থামানো নিয়ে চাঁপদানি ফাঁড়িতে তুলকালাম হয়। তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা প্রার্থী বিক্রম গুপ্তের বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে ওই ফাঁড়িতে ব্যপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকর্মীদেরও মারধর করা হয়। তারকেশ্বরের ঘটনায় রাজনীতির রঙ না লাগলেও কার্যত একই ঘটনা থেকে গোলমাল বাধে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই সন্তোষপুর পঞ্চায়েতের ওই গ্রামে চাঁপাডাঙা-তারকেশ্বর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কাগজ পরীক্ষা করছিল তারকেশ্বর থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, সন্ধ্যা ছ’টা পুলিশকর্মীরা তারকেশ্বরমুখি একটি মোটরবাইককে থামতে বলেন। কিন্তু বাইকটি না থেমে গতি বা়ড়িয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে থাকে। তখন বাইকটিকে আটকানোর জন্য এক পুলিশকর্মী হাতের লাঠি চালিয়ে দেন। তার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকে সওয়ার দুই যুবক রাস্তায় ছিটকে পড়ে জখম হন। তার উপরে উল্টোদিক থেকে একটি বাইক এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। এতেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা পুলিশের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কয়েকশো মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। আহত নাসিম আখতার মল্লিক এবং আলমগির মল্লিককে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাতের সামনে পেয়ে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। রাস্তা অবরোধ করা হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে তারকেশ্বর থানার ওসি পার্থসারথি পাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছন। কিন্তু অবরোধকারীরা সরতে চাননি। শেষ পর্যন্ত তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁদের হস্তক্ষেপেই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। পুলিশের দাবি, নাসিমদের বাইকটি অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মারার ফলেই ওই ঘটনা ঘটে। নাসিমদের পাশাপাশি ওই বাইকের চালক লতিফ শেখও আহত হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন