প্রহর গোনা শেষ, উৎসব শুরু পান্ডুয়ায়

কাউন্টডাউন শেষ। থিমের ডালি সাজিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি কালীঠাকুরের পান্ডুয়া! মণ্ডপ ভাব‌নায় অভিনবত্বের পাশাপাশি আলোর বৈচিত্র্যেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার অলিখিত প্রতিযোগিতা যেন শুরু হয়ে গিয়েছে এই জনপদেও।

Advertisement

সুশান্ত সরকার

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ০২:৪৮
Share:

কাউন্টডাউন শেষ।

Advertisement

থিমের ডালি সাজিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি কালীঠাকুরের পান্ডুয়া! মণ্ডপ ভাব‌নায় অভিনবত্বের পাশাপাশি আলোর বৈচিত্র্যেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার অলিখিত প্রতিযোগিতা যেন শুরু হয়ে গিয়েছে এই জনপদেও।

সবুজ সঙ্ঘ তাদের মণ্ডপ তৈরি করেছে ফ্রান্সের রানি মেরি ডি’মেডিসির প্যালেসের অনুকরণে। রঙিন কাগজ কেটে তৈরি পাখি, বিভিন্ন আকারের ঘুড়ি, রং-বেরঙের কাগজের তৈরি বিশাল আকৃতির রাজহাঁস দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘শান্তির পথে মুক্তির বার্তা’। চন্দন স্মৃতি সঙ্ঘের মণ্ডপ জুড়ে সচেতনতার বার্তা। মডেলের মাধ্যমে দেখা যাবে ‘মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে’ রাস্তাঘাট, ঘরদোর পরিষ্কার করছেন সাধারণ মানুষ। স্কুল পড়ুয়া কিশোরীর কাঁধে বইয়ের ব্যাগ। তারা ‘সবুজ সাথীর’ সাইকেলে স্কুলে যাচ্ছে।

Advertisement

শতদল ক্লাবের মণ্ডপে চমক ওড়িশার খ্যাতনামা শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েকের হাতে তৈরি বালি ভাস্কর্য। গঙ্গার বালি ব্যবহার করা হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, সুদর্শনবাবু তাঁর পাঁচ ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে দিন পাঁচেক ধরে তৈরি করেছেন বালির কালী প্রতিমা, মায়ের ঘর। রামকৃষ্ণ মা কালীকে প্রণাম করছেন, এমন দৃশ্যও শিল্পীর হাতের কাজে যেন প্রাণ পেয়েছে।

প্রগতি সঙ্ঘের পুজোয় কৃত্রিম সমুদ্রে হাঁস, মাছের সন্ধান মিলবে। পশ্চিমপাড়া ব্যবসায়ী কমিটির বিশেষ আকর্ষণ চন্দননগরের আলো। বিভিন্ন দেবদেবী থেকে শুরু করে কার্টুন বা লোকশিল্পীর কাহিনী ফুটে উঠেছে এলইডি আলোর মাধ্যমে। প্রতিমা আনা হয়েছে কৃষ্ণনগর থেকে। এ ছাড়াও মাতৃসঙ্ঘ, কালীমাতা ব্যবসায়ী সমিতি, সুভাষ সংগঠন, সঙ্ঘশ্রী, নিউস্টার, দক্ষিণাড়া ব্যবসায়ী সমিতি, শতদল ক্লাব-সহ অনেক পুজো দর্শক টানতে তৈরি। নৌকাঘাট কমিটির পুজোর আয়োজন করেছেন এলাকার মহিলারা। জিটি রোডের ধারে সিমলাগড় কালীবাড়ি এবং মহানাদ কালীবাড়ির পুজো দেখতে ভক্তের ঢল নামে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই দুই মন্দিরে পুজো দেখতে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজোর ক’দিন বিকেল চারটে থেকে পান্ডুয়া স্টেশনের পরিবর্তে ডিভিসির খাল ধার থেকে ১৩ নম্বর রুটের বাস (পান্ডুয়া-কালনা) ছাড়বে। খন্যান থেকে যে সব অটো ছাড়ে, বিকেল ৫টা থেকে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে। খন্যান থেকে জিটি রোডে যান চলাচ‌ল বন্ধ থাকবে। অন্য দিকে, সিমলাগড়ের দিকে গোয়ারা পর্যন্ত গাড়ি চলবে। পান্ডুয়ায় গাড়ি ঢুকবে না। জেলা পুলিশের আধিকারিকরা জানান, নির্বিঘ্নে পুজো শেষ করতে প্রচুর পুলিশ থাকছে।

পান্ডুয়া শ্যামাপূজা কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে মোট ৪৫টি পুজো হয়। কমিটির সম্পাদক অনুদ্যুতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পান্ডুয়ায় দমকলকেন্দ্র নেই। বাঁশবেড়িয়া দমকলকেন্দ্রকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজোর ক’দিন অন্তত একটি গাড়ি এখানে রাখার জন্য। যদি কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন