শিয়রে: শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা চণ্ডীতলার একটি স্কুলে। ছবি: দীপঙ্কর দে
গত কয়েক বছর ধরে হাওড়া জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। এ বারেও ব্যতিক্রম হল না। আরও একটি ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রইল। তা হল— সংখ্যার বিচারে ছেলেদের তুলনায় ছাত্রীদের এগিয়ে যাওয়া। একই ছবি হুগলিতেও।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এ বছর হাওড়ায় মোট পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৭৯৪ জন। যা গতবারের থেকে প্রায় ১২০০ কম। গতবার পরীক্ষা দিয়েছিল ৫২ হাজার ছেলেমেয়ে। এ বছর ছাত্রীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৯৭ জন। ছাত্র ২৫ হাজার ৩৯৭ জন। অর্থাৎ ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৯০০ বেশি। গতবার ছাত্রদের তুলনায় প্রায় ১৬০০ ছাত্রী বেশি ছিল। স্কুলশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক বা কর্মীদের অনেকের মত, কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। আবার সামগ্রিকভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমার নিয়ে কোনও মহলের ধারণা, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বাড়বাড়ন্তের জন্য এই অবস্থা।
জেলায় মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১৪৪টি। কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদার শিক্ষকের অভাব মেটাতে পাশের স্কুল থেকে শিক্ষক চাওয়া হয়েছে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য শিক্ষক পাঠানো না হলে শাস্তি হতে পারে। ফলে পরীক্ষা চলাকালীন পাশের স্কুলগুলিতে পঠন-পাঠনে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ-প্রশানের দাবি, দুই জেলাতেই পরীক্ষাকেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র ভিডিওগ্রাফি করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের কাছে জেরক্সের দোকান বন্ধ রাখা হবে। মাইক বাজানো যাবে না। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পর্যাপ্ত বাস, ছোট গাড়ি, অটো-টোটো চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শান্তনু সিংহ বলেন, ‘‘প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।’’
হুগলিতে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৫৭ হাজার ১২২। এর মধ্যে ছাত্রী ৩২ হাজার ৭৩০ জন। ছাত্র ২৪ হাজার ৩৯২ জন। অর্থাৎ মেয়েদের তুলনায় ৮ হাজার ৩৩৮ জন কম ছেলে পরীক্ষার্থী রয়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ৫৯ হাজার ২৫৯ জন। ছেলেদের তুলনায় ৭ হাজার ৮১ জন মেয়ে বেশি ছিল।
পর্ষদের কর্তারা জানান, নকল রুখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চন্দননগর কমিশনারেট এবং হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে এবং রাস্তাঘাটে পুলিশ সজাগ থাকবে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। রাস্তায় টহলদারি গাড়ি থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। জেরক্সের দোকান নজরদারির আওতায় থাকবে।