প্রতীকী ছবি।
নদী থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করল চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। বুধবার সকালে বেগমপুরের এই ঘটনায় মৃতের নাম পূজা রুইদাস (২৩)। ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে খুন করে দেহ জলে ফেলে দিয়েছে। মৃতার স্বামী, শাশুড়ি, দেওর এবং জায়ের বিরুদ্ধে চণ্ডীতলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে মৃতার স্বামী ও শাশুড়িকে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক দেওর ও জায়ের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূজার বাপের বাড়ি বেগমপুরের খরসরাই শীতলাতলায়। বছর পাঁচেক আগে তাঁর সঙ্গে বেগমপুরেরই রুইদাসপাড়ার বাসিন্দা গোপাল রুইদাসের বিয়ে হয়। গোপাল বেগমপুরে গেঞ্জির কলার তৈরির একটি কারখানায় কাজ করেন। তাঁদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওই বধূর উপর নির্যাতন করতে শুরু করেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যরা। বেশ কিছু দিন ধরে অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছিল। মাঝেমধ্যেই মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হত।
মঙ্গলবার সকালেও শ্বশুরবাড়িতে পূজাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে বাপের বাড়ির আত্মীয়রা গোপালকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, স্ত্রী-কে তিনি মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এর পরে স্ত্রী কোথায় গিয়েছেন, তিনি জানেন না। রাত ন’টা নাগাদ বধূটির বাপের বাড়ির তরফে চণ্ডীতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বুধবার সকালে সরস্বতী নদীর জলে মহিলার দেহ ভাসতে দেখা যায়। পূজার জামাইবাবু হেমন্ত ভড়ের অভিযোগ, ‘‘আমাদের সন্দেহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওকে খুন করে দেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে।’’ পুলিশের দাবি, মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কী কারণে ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে
বলা যাবে।