কিশোরের গলায় ব্লেড, অভিযুক্ত যুবক

ফরমাস মতো কাজ না করায় এক কিশোরের গলায় ব্লেড চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তারই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত কিশোরের গলায় তিনটি সেলাই পড়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড়ের খামারপাড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

সাগর বাল্মীকি

ফরমাস মতো কাজ না করায় এক কিশোরের গলায় ব্লেড চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তারই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। আহত কিশোরের গলায় তিনটি সেলাই পড়েছে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলুড়ের খামারপাড়ায়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ওই কিশোরের নাম সাগর বাল্মীকি। সে স্থানীয় একটি হিন্দি মাধ্যম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক রাজা বাল্মীকি পলাতক বলেই দাবি পুলিশের। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়েরা। শনিবার সকালে সাগরের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে বেলুড় থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, খামারপাড়ায় পুরসভার সাফাই কর্মীদের আবাসনে থাকেন হাওড়ার পুরসভার সাফাইকর্মী লক্ষ্মী বাল্মীকি ও তাঁর মেয়ে
রেশমা বাল্মীকি, নাতি সাগর। অভিযোগ, এলাকার কিশোরদের নিয়ে নিজের বিভিন্ন ফাইফরমাস খাটাতেন স্থানীয় বাসিন্দা রাজা। তাঁর হয়ে কাজ না করলে রীতিমতো মারধরের হুমকিও দেন তিনি। সাগরের পরিবারের অভিযোগ, কয়েক দিন আগে ওই কিশোরকেও ডেকে পাঠান রাজা। হুমকি দিয়ে জানিয়ে দেন, এলাকায় থাকতে গেলে তাঁর কাজ করে দিতে হবে।

Advertisement

সাগর পুলিশকে জানিয়েছে, তাকে ডেকে বাজার করে দিতে বলতেন, জল আনাতেন রাজা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাগরকে ডেকে দোকানে যেতে বললে সে জানিয়ে দেয়, বাড়ির জল এনে তাকে টিউশনে যেতে হবে। তাই সে পারবে না। রেশমা বলেন, ‘‘মুখের উপরে না বলে দেওয়ায় পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন রাজা।’’ অভিযোগ, শুক্রবার রাতে টিউশন থেকে ফেরার সময়ে সাগরকে কথা আছে বলে খামারপাড়া জল ট্যাঙ্কের পিছনে নিয়ে যান রাজা। সাগর বলে, ‘‘কেন ওর কথা শুনিনি, তাই ধমকাতে থাকে। কিন্তু নিজের কাজ না করে অন্যের কাজ করতে পারব না বলতেই আচমকা কলার চেপে ধরে গলায় ব্লেড টেনে দেয়।’’ রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে থাকে ওই কিশোর। এলাকার অন্যরা এসে যেতেই চম্পট দেন রাজা। এর পরে সাগরকে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অল্পের জন্য শ্বাসনালিতে আঘাত লাগেনি ওই কিশোরের। তা হলে বড় বিপদ ঘটে যেত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন