প্ল্যাটফর্মে ছাত্রীর গলায় ব্লেডের আঘাত

এ দিন উত্তরপাড়ার হাসপাতালে এসে ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, সকালে যখন তাঁর মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল, তখনও ওই যুবক রাস্তা আটকে বিরক্ত করছিল। ছেলেটি তাঁদের এলাকাতেই থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০২:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

গলা কেটে রক্ত ঝরছে। প্ল্যাটফর্মে লুটিয়ে পড়েছে এক স্কুলছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়ে বাজারের ভিড়ে মিশে গেল এক যুবক!

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন বালি স্টেশনে থাকা যাত্রীরা। পরে তাঁরা জানতে পারলেন, পালিয়ে যাওয়া যুবকটি ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করছিল। তাতে বাধা দিতেই কিশোরীর গলায় ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছে ওই যুবক। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে বেলুড় জিআরপি।

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ডানকুনির বাসিন্দা ওই কিশোরী উত্তরপাড়ার একটি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ দিন স্কুল ছুটির পরে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আরও দুই বান্ধবীর সঙ্গে ওই কিশোরীও বালি স্টেশনের কর্ড শাখার ট্রেন ধরতে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসেছিল। কিন্তু তারা আসার কিছু ক্ষণ আগেই ডানকুনিগামী লোকাল ট্রেনটি চলে যায়। তখন বান্ধবীদের সঙ্গেই প্ল্যাটফর্মের সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। তার বান্ধবীদের অভিযোগ, আচমকাই ওই যুবক পিছন থেকে এসে ছাত্রীটির হাত টেনে ধরে। দাবি করে তার সঙ্গে ওই কিশোরীকে প্রেম করতে হবে। বারবার হাত ছাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করছিল ওই ছাত্রী। শেষে রেগে গিয়ে বাবাকে জানাবে বলতেই খেপে ওঠে ওই যুবক।

Advertisement

জখম ছাত্রীর বান্ধবী বলে, ‘‘ছেলেটা ওর গলায় ব্লেড জাতীয় কিছু চালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ধরতে গেলে আমায় ঠেলে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’’ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কিশোরী প্ল্যাটফর্মে লুটিয়ে পড়তেই ছুটে আসেন অন্য যাত্রীরা। তার চোখে-মুখে জল দেওয়া হয়। গলায় চেপে ধরা হয় রুমাল। মেন শাখার প্ল্যাটফর্ম থেকে কর্তব্যরত জিআরপি কর্মীরা পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে চলে যান। ছেলেটির বিবরণ জেনে বাজার, সাবওয়ে ও ফুট ওভারব্রিজে তল্লাশিও শুরু করে রেল পুলিশ।

এ দিন উত্তরপাড়ার হাসপাতালে এসে ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, সকালে যখন তাঁর মেয়ে স্কুলে যাচ্ছিল, তখনও ওই যুবক রাস্তা আটকে বিরক্ত করছিল। ছেলেটি তাঁদের এলাকাতেই থাকে। ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘সকালে আমি আসতেই ছেলেটি পালিয়ে যায়। পরে বাইকে করে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিলাম। আগেও কয়েক বার ছেলেটি বিরক্ত করেছিল। আমরা প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস অন্য কোথাও চলে গিয়েছিল। ফিরে এসে আবার শুরু করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন