সংজ্ঞাহীন বৃদ্ধাকে রাস্তা থেকে তুলে বাড়ি ফেরালেন যুবক

অচৈতন্য বৃদ্ধাকে বাড়িতে ফেরালেন এক যুবক। মানবিকতার এই দৃশ্য দেখা গেল শুক্রবার। পুলিশ সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়ার হাটগাছার বাসিন্দা সুনীতিকুমার পাল একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। তিনি এ দিন সকালে সংস্থার কাজে মৌরিগ্রামের চুনাভাটি গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪০
Share:

রাস্তা থেকে বাড়ির পথে।—নিজস্ব চিত্র।

অচৈতন্য বৃদ্ধাকে বাড়িতে ফেরালেন এক যুবক। মানবিকতার এই দৃশ্য দেখা গেল শুক্রবার। পুলিশ সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়ার হাটগাছার বাসিন্দা সুনীতিকুমার পাল একটি নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করেন। তিনি এ দিন সকালে সংস্থার কাজে মৌরিগ্রামের চুনাভাটি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে কলকাতায় নিউটাউনে অফিসে যাওয়ার জন্য বাস থেকে নেমে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দেখতে পান, রাস্তায় এক বৃদ্ধা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে। দেরি না করে তাঁকে কোলে করে স্টেশনে এনে তাঁর চোখেমুখে জল দেন। জ্ঞান ফিরলে জানা য়ায়, আশাদেবী নামে ওই বৃদ্ধার বাড়ি উলুবেড়িয়ার কৈজুড়িতে।

Advertisement

সুনীতিবাবু বৃদ্ধাকে উলুবেড়িয়ায় নিয়ে আসেন। বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কাউকে না পেয়ে তিনি বৃদ্ধাকে উলুবেড়িয়া কোর্টের কাছে নিয়ে যান। খবর দেন থানায়। পরে পুলিশ বৃদ্ধার নাতি লক্ষণ ঘোষের হাতে তাঁকে তুলে দেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আশাদেবীর চার ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে মারা গিয়েছেন। কৈজুড়িতে ছেলে-মেয়েদের কাছেই থাকতেন। বছর আটেক হল তিনি ছোট ছেলে হরি ঘোষের কাছে বকুলতলায় থাকতেন। পেশায় রাজমিস্ত্রী হরির সংসারে মাকে নিয়ে অশান্তি হতো। শুক্রবারও পুত্রবধূর সঙ্গে অশান্তি হয়। এর পরেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। যদিও হরির দাবি, ‘‘কোনও সমস্যা হয়নি। মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করছিলাম। পরে জানতে পারি এই অবস্থা।’’ তাঁদের মাকে ফিরিয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান সুনীতিবাবুকে। সুনীতিবাবু বলেন, ‘‘চড়া রোদে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। দেখে কষ্ট হচ্ছিল। উলুবেড়িয়ায় বাড়ি শুনে তাঁকে নিয়ে চলে আসি। মানুষ হিসেবে যা করা দরকার সেটাই করেছি। পুলিশও সাহায্য করেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন