প্রতীকী ছবি।
সম্পত্তির লোভে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর ও অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল প্রাক্তন শ্বশুর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। যুবকের প্রাক্তন স্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনেই এই কাণ্ড, এমন অভিযোগও উঠেছে।
শুক্রবার রাতে তারকেশ্বরের রামনগরের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা রিজাউল সরকার নামে ওই যুবককে শ্রীরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের প্রাক্তন শ্বশুর রেজ্জাক মণ্ডল এবং প্রাক্তন স্ত্রী রোকেয়া বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তাঁরা পলাতক।
তারকেশ্বরের চাকদহের বাসিন্দা রিজাউলের সঙ্গে ২০০৮ সালে ধনেখালির অনন্তপুরের রোকেয়ার বিয়ে হয়। ওই যুবকের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে এক কনস্টেবলের ঘনিষ্ঠতার কথা তাঁরা জেনে ফেলেছিলেন। সেই কারণে রোকেয়া নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করে মা ও তাঁর বিরুদ্ধে। মাস আটেক আগে তাঁদের ডিভোর্স হয়। তার পরে সম্পত্তির লোভে রিজাউল ও তাঁর মায়ের উপরে একাধিকবার লোক লাগিয়ে রোকেয়ারা হামলা করেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ মোটরবাইকে রিজাউল তারকেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন। রামনগরের কাছে একটি গাড়ি তাঁর পথ আটকায়। অভিযোগ, তিন দুষ্কৃতী এবং রোকেয়ার বাবা রেজ্জাক মণ্ডল তাঁকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। তাঁকে দিয়ে একটি কাগজে টিপসই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও হয়। ধস্তাধস্তির মধ্যে রড দিয়ে তাঁর মাথায় মারা হয়। এলোপাথাড়ি ছুরি চালানো হয়। আগের হামলার সময়ে অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রিজাউলের। পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, সব অভিযোগই দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে।