তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাকোল পঞ্চায়েতের বিরোধী সিপিএম সদস্যেরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটিতে হারতে হল প্রধান হালিমা বেগমকে। তৃণমূলের দুই সদস্যও অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হালিমা। তাঁর দাবি, “সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই গ্রামোন্নয়নের কাজ করা হচ্ছিল। কোনও স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপার নেই। আমাদের দুই সদস্যকে টাকা দিয়ে আমার বিপক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করে সিপিএম।” পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলি মোল্লারও দাবি, “উন্নয়ন যথাযথই হচ্ছিল। আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন সিপিএম তা করতে পারেনি। ওরা যে ভাবে অনাস্থা এনেছে, তা অগণতান্ত্রিক।”
ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ভোটাভুটিতে হেরে প্রধানকে সরতে হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের পরবর্তী প্রধান নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই তা স্থির করা হবে।
ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে ২২ আসনের ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তাদের দখলে রয়েছে ১২টি আসন। সিপিএম পায় ৭টি, এআইইউডিএফ ২টি এবং নির্দল ১টি আসন। গত ৩১ অক্টোবর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন সিপিএম সদস্যেরা। তা সমর্থন করেন নির্দল সদস্যও। বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতে অনাস্থার পক্ষে ১২টি ভোট পড়ে। তার মধ্যে ওই আট জন ছাড়াও এআইইউডিএফের দুই এবং তৃণমূূলের দুই সদস্যের ভোটও রয়েছে।
পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের সমর ধাড়ার দাবি, “প্রধান যে ভাবে গ্রামোন্নয়নের কাজে স্বেচ্ছাচারিতা করছিলেন, তাতে উন্নয়নের স্বার্থেই অনাস্থা আনা হয়। ভোটাভুটিতে বেশির ভাগ সদস্য আমাদের সমর্থন করেছেন।” পক্ষান্তরে, যে দুই তৃণমূল সদস্য এ দিন অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন, সেই শেখ তসলিমা এবং সালমা বেগমের দাবি, “আলোচনা ছাড়াই প্রধান নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছিলেন। আমাদের কিছু জানানোও হচ্ছিল না। আমাদের সংসদ এলাকায় কোনও কাজই হচ্ছে না। উন্নয়নের স্বার্থেই আমরা অনাস্থাকে সমর্থন করেছি।”