আরামবাগে কলেজ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে ধৃত ৩

কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিন মদ্যপ যুবকের হাতে বাসস্ট্যান্ডে হেনস্থা হলেন তিন ছাত্রী। ওই তরুণীদের প্রতি বেশ খানিকক্ষণ নানা কটূক্তি করার পর, তাঁদের গায়ে ঠান্ডা বিয়ারের বোতল ঠেকিয়ে ‘ঠান্ডা’ হওয়ার পরামর্শ দেয় ওই বেসামাল যুবকরা। তাদের এড়াতে জায়গা বদল করেও রেহাই মেলেনি ওই ছাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত দুই সিভিক পুলিশ সেখানে এসে ব্যাপার বুঝে আরামবাগ থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার হয় ওই তিন যুবক। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আর্জি নাকচ করে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:০৫
Share:

ইভটিজিং কাণ্ডে ধৃতরা। —নিজস্ব চিত্র

কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিন মদ্যপ যুবকের হাতে বাসস্ট্যান্ডে হেনস্থা হলেন তিন ছাত্রী। ওই তরুণীদের প্রতি বেশ খানিকক্ষণ নানা কটূক্তি করার পর, তাঁদের গায়ে ঠান্ডা বিয়ারের বোতল ঠেকিয়ে ‘ঠান্ডা’ হওয়ার পরামর্শ দেয় ওই বেসামাল যুবকরা। তাদের এড়াতে জায়গা বদল করেও রেহাই মেলেনি ওই ছাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত দুই সিভিক পুলিশ সেখানে এসে ব্যাপার বুঝে আরামবাগ থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার হয় ওই তিন যুবক। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আর্জি নাকচ করে দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে ওই তিন ছাত্রী কলেজ শেষে বাসের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে। হঠাৎই কাছের একটা বার থেকে তিন যুবক এসে তাঁদের উদ্দেশে নানা কথা ছুড়ে দিতে থাকে। মোবাইল নম্বরও চায়। কোনও সাড়া না দিয়েও রেহাই মেলেনি তরুণীদের। যুবকেরা বেশ কিছুক্ষণ উত্যক্ত করার পর তরুণীরা অন্যত্র সরে যান। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি বলে জানান ওই ছাত্রীরা।

ভয়ে গলা শুকিয়ে যাওয়ায় ওই ছাত্রীরা ব্যাগ থেকে বোতল বের করে জল খান। এ বার ছেলেগুলি তাঁদের থেকে জল খেতে চায়। এক তরুণী বলেন, “বুঝতে পারছিলাম ওরা মদ্যপ, তাই জল দিইনি।” এর পরে একটি ছেলে মেয়েদের গায়ে ঠাণ্ডা বিয়ারের বোতল ঠেকায় বলে অভিযোগ। তরুণীরা ঘাবড়ে যান। তখন সেখানে টহলরত দুই সিভিক পুলিশ হাজির হন। পরিস্থিতি দেখে তাঁরা মেয়েদের কাছে কাছে জানতে চান, ছেলেগুলি তাঁদের বিরক্ত করছে কি না। মেয়েরা অভিযোগ জানাতেই তাঁরা থানায় ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ভ্যান ঘটনাস্থলে চলে আসে। ইভ-টিজিংয়ের অভিযোগে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

বুধবার ধৃতদের আরামবাগ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এক তরুণী বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরেই এই পথে যাতায়াত করি। কোনও দিন এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি।” ওই ছাত্রীর মা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসাও করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন