ন্যূনতম নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য না আসায় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হল না। হাওড়ার সাঁকরাইলের দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম তথা বাম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল সদস্যরা। প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন কংগ্রেস সদস্যরা। এছাড়াও তাতে সই করে সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একাংশ। প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি ছিল সোমবার। নিয়ম হল, ভোটাভুটি করতে হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্যের অর্ধেকের বেশি হাজির থাকতে হবে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা কুড়ি। কিন্তু এ দিন হাজির ছিলেন দশ জন সদস্য। ফলে এদিনের ভোটাভুটি বাতিল করে দেওয়া হয়। বিডিও প্রসেনজিত্ ঘোষ বলেন, “কোরাম না হওয়ায় এদিন ভোটাভুটি হয়নি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী।”
পঞ্চায়েতে সিপিএমের ১০ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ২টি আসন রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিজেপির রয়েছে যথাক্রমে ৩, ৪ এবং ১টি করে আসন। গত ১৪ অক্টোবর প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন কংগ্রেসের তিন জন, সিপিএমের দু’জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন সদস্য। কিন্তু ভোটাভুটির দিনে দেখা গেল, বামফ্রন্ট তার নিজের ঘর অটুট রাখতে পেরেছে। যে ১০ জন সদস্য মিলে অনাস্থা এনেছিলেন তাঁরা বামফ্রন্টের বাকি ১০ জন সদস্যদের মধ্যে থেকে একজনকেও নিজেদের দিকে টানতে পারেননি। এ বিষয়ে সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক নন্দলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “টাকা পয়সা দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের কিনে নেওয়ার চক্রান্ত করেছিল তৃণমূল। আমাদের দল তা ব্যর্থ করেছে।” অন্য দিকে অনাস্থা প্রস্তাব যাঁরা এনেছিলেন তাঁদের অভিযোগ, সিপিএম জোর করে কিছু সদস্যকে আটকে রেখেছিল। তার ফলেই ওইসব সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি। আটকে রাখার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে সিপিএম। এদিনের ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।