কোন্নগরে শম্ভু খুনে দোষী সাব্যস্ত পাঁচ

শম্ভু রায় খুনের ঘটনায় শুক্রবার পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আদালত সূত্রের খবর, যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ না মেলায় দু’জন বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছে ওই মামলায়। এদিন পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে আদালত। শুধুমাত্র মিহির দাস ওরফে বাচ্চু এদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। উল্লেখ্য, বাচ্চু কুখ্যাত দুষ্কৃতী হুব্বা শ্যামলের ভাই। বছর কয়েক আগে হুব্বা খুন হয়ে যায় তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১১
Share:

শম্ভু রায় খুনের ঘটনায় শুক্রবার পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ না মেলায় দু’জন বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছে ওই মামলায়। এদিন পাঁচজনের মধ্যে চারজনকেই হেফাজতে নিয়েছে আদালত। শুধুমাত্র মিহির দাস ওরফে বাচ্চু এদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। উল্লেখ্য, বাচ্চু কুখ্যাত দুষ্কৃতী হুব্বা শ্যামলের ভাই। বছর কয়েক আগে হুব্বা খুন হয়ে যায় তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর হাতে।

প্রসঙ্গত কোন্নগর কুলি লাইনের বাসিন্দা শম্ভু গত ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হুব্বার দলবলের হাতে খুন হয়ে যায়। ঘরের দরজা ভেঙে তার স্ত্রী মাধুরি-র সামনে দিয়ে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করেছিল হুব্বার শ্যামলের দলবল। ওই মামলায় মোট সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে নিহতের স্ত্রী। এতদিন তিনি প্রতীক্ষায় ছিলেন স্বামী শুম্ভু রায় খুনের অপরাধীরা সাজা পায় কি না তা দেখতে। এদিন সাতজনের মধ্যে পাঁচজনকেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করায় তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিহত শম্ভু নিজেও এক সময় দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু সে সমাজবিরোধী কাজকর্ম থেকে সরে যেতে চাইতেই হুব্বার নেক নজরে পড়ে। তারপর তার নির্দেশেই খুন হতে হয় শুম্ভুকে। স্বামী খুন হওয়ায় পর তার স্ত্রী মাধুরির তিন তিনটে বাচ্চাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়ে। এদিকে বাচ্চাদের মানুষ করা, অন্যদিকে দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় প্রাণের ভয়ে লুকিয়ে থাকা। নানা মামালায় জেলের মধ্যে থাকা ওই দুষ্কৃতীরা একের পর সাক্ষীকে হুমকী দিয়ে গিয়েছে। আর তাতে কাজের কাজও হয়েছে। ওই মামলার অনেক সাক্ষীই বিরুপ হয়ে গিয়েছেন।

আইনজীবীদের মতে বছর কয়েক আগে, কোন্নগরের চটকল কুলি লাইনের ওই বাসিন্দার খুনের ঘটনায় দাঁতে দাঁত লড়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। আর শ্রীরামপুরের কোর্টের এক দুঁদে আইনজীবীর বক্তব্য,“ওই মামলার আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করা হয় একমাত্র তাঁর স্ত্রী মাধুরির জন্য।” শ্রীরামপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক উত্তম নন্দী এদিন ওই মামলার পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সোমবার ওই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক।

ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের পল্লব গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বলেন,“দোষী সাব্যস্ত পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র বাচ্চু এদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের এডিজিকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন