কথা বলায় ছাত্রকে মার, তাণ্ডব হাওড়ার স্কুলে

ক্লাসে বছর চোদ্দোর পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করেছেন শিক্ষক এমনই অভিযোগের জেরে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার একটি স্কুলে তাণ্ডব চালালেন কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দা। ছাত্র-পেটানোর অভিযোগে আজ ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। রাতে তিনি ছাড়া পান। ঘটনার তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৪ ০১:৫০
Share:

ক্লাসে বছর চোদ্দোর পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করেছেন শিক্ষক এমনই অভিযোগের জেরে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার একটি স্কুলে তাণ্ডব চালালেন কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্র, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দা। ছাত্র-পেটানোর অভিযোগে আজ ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। রাতে তিনি ছাড়া পান। ঘটনার তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত কাল সকালে। ইংরেজি মাধ্যম ওই স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন হিন্দির শিক্ষক জয়প্রকাশ সিংহ। কালি শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধুর কাছ থেকে পেন চাইছিল এক পড়ুয়া। অভিযোগ, তা দেখতে পেয়ে জয়প্রকাশবাবু তাকে প্রথমে বকাঝকা করেন। কথা বলার কারণ জানতে চান। ওই ছাত্রের কথায়, “ভয়ে স্যরকে কিছু বলতে পারিনি। তখন একটা স্টিলের স্কেল দিয়ে উনি আমাকে খুব মারেন।” সে জানিয়েছে, তার বন্ধুরা ওই শিক্ষককে থামায়। লেকটাউনের ঘটনার কথাও তাঁকে বলা হয়। এ দিন ওই পড়ুয়া বলে, “স্যর এর পর আমার কাছে এসে দুঃখপ্রকাশ করেন। আমার লেগেছে কি না, তিনি তা-ও জিজ্ঞাসা করেন।” ছুটির পর জে এন মুখার্জি রোডের বাড়িতে ফিরলেও, ছাত্রটি প্রথমে কাউকে কিছু বলেনি। ছেলের হাত-পায়ে কালশিটের দাগ দেখে তার মা সব কথা ফোনে বড়বাজারের আলতা-সিঁদুর ব্যবসায়ী ওই ছাত্রের বাবাকে জানান। হাসপাতালে ছেলেটির ডাক্তারি পরীক্ষার পর গত রাতে গোলাবাড়ি থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ শ’খানেক লোক সেখানে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। অভিযোগ, চিৎকার-চেঁচামেচি করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক প্রধান সিস্টার হিল্ডা জানান, ওই ছাত্রের অভিভাবককে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ফোনে ওই ছাত্রের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন জয়প্রকাশবাবুকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement