মিলেছে সংস্কারের আশ্বাস

খন্দপথে প্রাণ হাতে যাতায়াত উলুবেড়িয়ায়

বেশির ভাগ জায়গা থেকেই উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। তার জন্য দুর্ঘটনাও ঘটছে হামেশাই। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বেহাল অবস্থা উলুবেড়িয়া-গড়চুমুক ১২ কিলোমিটার রাস্তাটির। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, রাস্তাটি ব্যবহার করতে গিয়ে এই শীতের মরসুমে নাজেহাল হচ্ছেন বহু পর্যটকও। কেননা, ওই রাস্তা দিয়েই প্রাণ হাতে করে তাঁদের গড়চুমুক মিনি চিড়িয়াখানা বা গাদিয়াড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২৭
Share:

উলুবেড়িয়া থেকে গড়চুমুক যাওয়ার রাস্তার অবস্থা। ছবি: সুব্রত জানা।

বেশির ভাগ জায়গা থেকেই উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। তার জন্য দুর্ঘটনাও ঘটছে হামেশাই। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয়।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে এই বেহাল অবস্থা উলুবেড়িয়া-গড়চুমুক ১২ কিলোমিটার রাস্তাটির। স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, রাস্তাটি ব্যবহার করতে গিয়ে এই শীতের মরসুমে নাজেহাল হচ্ছেন বহু পর্যটকও। কেননা, ওই রাস্তা দিয়েই প্রাণ হাতে করে তাঁদের গড়চুমুক মিনি চিড়িয়াখানা বা গাদিয়াড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। রাস্তাটি মেরামতির ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের নানা মহল এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

রাস্তাটি মেরামতির কথা পূর্ত (সড়ক) দফতরের। হাওড়া জেলা পূর্ত (সড়ক) দফতর রাস্তাটি দ্রুত সারানোর আশ্বাস দিয়েছে। ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, “রাস্তাটি সারানোর জন্য প্রায় দু’কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি জায়গায় দখলদারি, বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ থাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই আপাতত প্যাচ-ওয়ার্কের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্যাগুলি মিটে গেলেই দ্রুত কাজ চালু করা হবে। মহকুমাশাসককে তা জানানোও হয়েছে।” মহকুমাশাসক (উলুবেড়িয়া) নিখিল নির্মল জানান, শীঘ্রই বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ওই রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি মেটানোর চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

হিরাপুর, কালীনগর, ধুলাশিমলা, বহিরা, তপনা, গড়চুমুক, ৫৮ গেট-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের উলুবেড়িয়া যাওয়ার এটাই প্রধান রাস্তা। অটো-ট্রেকার-সহ ওই রাস্তায় প্রতিদিন শ’দুয়েক যাত্রিবাহী গাড়ি চলে। কিন্তু খানাখন্দে ভরা রাস্তায় গাড়িতে যাতায়াত করতে নাভিশ্বাস উঠছে যাত্রীদের। অথচ, অন্য রাস্তা দিয়েও তাঁরা যেতে পারছেন না। কেননা, উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের অফিস, উলুবেড়িয়া-১ ব্লক অফিস, থানা, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন ভবন এবং হাট-বাজারে যাওয়ার জন্যও ওই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। উলুবেড়িয়া স্টেশন হয়ে যাঁরা কলকাতায় যান। তাঁদেরও রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়।

উলুবেড়িয়ার বহিরার বাসিন্দা উত্তম রায়চৌধুরী বা কলেজ ছাত্রী শ্রাবণী ভট্টাচার্যেরা বলেন, ‘‘অন্য রাস্তা না থাকায় ওই রাস্তায় আমাদের প্রাণ হাতে যাতায়াত করতেই হয়। প্রশাসন অবিলম্বে সংস্কারের ব্যবস্থা করলে অনেক সুবিধা হয়।”

রাস্তাটির এ হেন অবস্থার জন্য উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় অবশ্য আগের বাম সরকারকেই দুষেছেন। তিনি বলেন, “আগে থেকেই রাস্তাটি খারাপ ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে সারাতে উদ্যোগী হয়েছি। পরিকল্পনা, অর্থ বরাদ্দ-সহ কিছু কারণে দেরি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন