জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব

গোঘাটে ধান কাটতে হস্তক্ষেপ প্রশাসনের

দুই পরিবারের বংশানুক্রমে চাষাবাদ করা ২০ বিঘা জমি হঠাত্‌ই গ্রামের মসজিদের সম্পত্তি দাবি করে জমির ধান কাটতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই সম্পত্তি গ্রামের মসজিদের। ওই দুই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তা জোর করে ভোগ করে আসছে। শেষ পর্যন্ত জমির অধিকার সংক্রান্ত নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রায় এক মাস পর জমির ভোগদখলকারীদের ধান কাটার অনুমতি দিলেন মহকুমাশাসক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৪০
Share:

দুই পরিবারের বংশানুক্রমে চাষাবাদ করা ২০ বিঘা জমি হঠাত্‌ই গ্রামের মসজিদের সম্পত্তি দাবি করে জমির ধান কাটতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই সম্পত্তি গ্রামের মসজিদের। ওই দুই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে তা জোর করে ভোগ করে আসছে। শেষ পর্যন্ত জমির অধিকার সংক্রান্ত নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রায় এক মাস পর জমির ভোগদখলকারীদের ধান কাটার অনুমতি দিলেন মহকুমাশাসক।

Advertisement

আরামবাগ মহকুমার গোঘাটের দড়িনকুণ্ডা গ্রামের এই ঘটনায় জমির ভোগদখলকারী দুই পরিবারের তরফে আবু মহম্মদ মহিউদ্দিন এবং আব্দুল মালেক গ্রামবাসী মনতাজুল ইসলাম (তণমূল নেতা)ওরফে মণ্টুু, রবিয়াল হোসেন, আব্দুল হান্নান, মহিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ধান কাটতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তরফে কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হলেও সমস্যা মেটেনি। গ্রামবাসীর পক্ষে মনতাজুল ইসলামের দাবি, “সম্প্রতি আমরা মসজিদের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেছি পুরোটাই আসলে মসজিদের সম্পত্তি। ওই দুই পরিবার অন্যায়ভাবে ভোগ করে আসছে। আমরা বৈধ রেকর্ড যথাসময়ে দেখাব। জমির ধান কাটতে হলে ফসলের একটা অংশ মসজিদে দিতে হবে।”

যদিও গোঘাট ১ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী গ্রামবাসীর দাবি যে বৈধ, তার প্রমাণ মেলেনি।” তিনি জানান, দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী ওই জমি (দাগ নম্বর ২০০০) রমজান আলি তাঁর দুই বংশধরদের সমানভাগে ভোগদখলের জন্য দিয়ে যান। আবু মহম্মদ মহিউদ্দিন এবং আব্দুল মালেকের অভিযোগ, “গ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি জোর করে মসজিদের নাম করে নিয়ে লুটেপুটে খেতে চাইছে। গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে তাতাচ্ছে।”

Advertisement

শেষ পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখে জমির ভোগদখলকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে জমির ধান কাটতে পারেন সে বিষয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক প্রতুলকুমার বসু। ২৩ ডিসেম্বর ওই নির্দেশ দিয়ে মহকুমাশাসক বলেন, “যাঁরা আপত্তি জানিয়েছিলেন তাঁরা তাঁদের দাবির পক্ষে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে ওই জমিতে ভোগদখলকারীদের স্বত্ব নথিতে প্রমাণিত হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন