টুকলি রুখতে বাছাই কেন্দ্রে ভিডিওর ব্যবস্থা

মাধ্যমিকে টুকলি রুখতে এ বার আরও সুসংহত ভাবে বাছাই কেন্দ্রে ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল হাওড়ায়। আগেও মাধ্যমিকে টুকলি রুখতে এই জেলার নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে ভিডিও তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সেই ব্যবস্থাকেই আরও সুসংহত ভাবে এবং পরিকল্পনামাফিক কার্যকর করা হবে। বালি, শিবপুর, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর এইসব এলাকার অন্তত ১০টি পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ভিডিও ফোটোগ্রাফার।

Advertisement

নুরুল আবসার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১৩
Share:

মাধ্যমিকে টুকলি রুখতে এ বার আরও সুসংহত ভাবে বাছাই কেন্দ্রে ভিডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল হাওড়ায়।

Advertisement

আগেও মাধ্যমিকে টুকলি রুখতে এই জেলার নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে ভিডিও তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সেই ব্যবস্থাকেই আরও সুসংহত ভাবে এবং পরিকল্পনামাফিক কার্যকর করা হবে। বালি, শিবপুর, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর এইসব এলাকার অন্তত ১০টি পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ভিডিও ফোটোগ্রাফার। তার জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর টাকাও বরাদ্দ করেছে। তবে, ওই সব ভাড়া করা ভিডিও ফোটোগ্রাফার পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকবেন না। পরীক্ষায় টুকলির কাজটি সাধারণত পরিচালনা করা হয় বাইরে থেকে। সেই কারণে সর্বক্ষণ ওই সব ভিডিও ফোটোগ্রাফার বাইরেই থাকবেন এবং প্রয়োজনে টুকলি হলে তার ছবি তুলবেন।

হুগলির মতো হাওড়াতেও এ বারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫০২ জন। এর মধ্যে আছে নিয়মিত ছাড়াও কম্পার্টমেন্টাল ও বহিরাগত। ছাত্রীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ২৪ হাজার ৪৬৪ জন। ছাত্রদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ২০ হাজার ৫৭৮ জন। কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা হল যথাক্রমে ১০৭ ও ১৪৬১ জন। এ ছাড়াও বহিরাগত হিসাবে পরীক্ষা দিচ্ছে যথাক্রমে ২ জন ছাত্র ও ৪ জন ছাত্রী।

Advertisement

জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র হচ্ছে ১৪৩টি। তার মধ্যে আবার ৪০টি স্কুলকে রাখা হয়েছে প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে। এক-একটি প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রের অধীনে থাকবে গড়ে তিন থেকে চারটি করে পরীক্ষাকেন্দ্র। প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন শিক্ষা দফতরের একজন আধিকারিক। তাঁর কাছে অভিভাবকেরা যে কোনও অভিযোগ বা অসুবিধার কথা জানাতে পারবেন। গ্রামের দিকে যানবাহনের সমস্যা বেশ প্রকট। ফলে, পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, দুর্গম এলাকাগুলিতে বেশি করে বাস, অটো রিকশা এবং ট্রেকার চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, “আমরা হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতে যাতে যানবাহন সংক্রান্ত সমস্যা না হয় তা তাঁরা দেখবেন বলে কথা দিয়েছেন।”

পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষা পরিদর্শকের দফতরের এ বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে অভিভাবকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র প্রথম দিন ছাত্র-ছাত্রীদের আসন খুঁজে নেওয়ার জন্য অভিভাবকেরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। নিয়মিত শিক্ষক ছাড়া পার্শ্ব শিক্ষক বা চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারির দায়িত্বে রাখা যাবে না।

জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, “যদি কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে যথেষ্ট সংখ্যক স্থায়ী শিক্ষক না থাকেন তা হলে তিনি পাশের স্কুল থেকে শিক্ষক চেয়ে আমাদের কাছে আগে থেকে আবেদন করতে পারেন। আমাদের দফতর সেই ব্যবস্থা করবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন