ট্রেনে উঠতে বাধা, শিক্ষককে মারধর ব্যান্ডেল স্টেশনে

ট্রেনে ওঠা নিয়ে বচসার জেরে নিত্যযাত্রীদের হাতে মার খেলেন এক কলেজ শিক্ষক। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার ব্যান্ডেল স্টেশনে রেলপুলিশ সূত্রে খবর, গুপ্তিপাড়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ব্যান্ডেলের কৈলাস নগরের বাসিন্দা পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কলেজে যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share:

ট্রেনে ওঠা নিয়ে বচসার জেরে নিত্যযাত্রীদের হাতে মার খেলেন এক কলেজ শিক্ষক। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার ব্যান্ডেল স্টেশনে রেলপুলিশ সূত্রে খবর, গুপ্তিপাড়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ব্যান্ডেলের কৈলাস নগরের বাসিন্দা পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এ দিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কলেজে যাওয়ার জন্য ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে আসেন। স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে শিয়ালদা-কাটোয়া লোকাল ঢুকলে তিনি একটি কামরায় উঠতে যান। কিন্তু সেটিতে প্রচুর ভিড় থাকায় তিনি পাশের কামরায় যান। কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা থাকায় ফের ফিরে আসেন আগের কামরায়। কামরার মুখে কয়েকজন যুবক দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে কামরার ভিতরে ঢুকতে দিতে ওই যাত্রীদের অনুরোধ করেন পাথর্বাবু। না হলে কলেজে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু কামরার দরজায় দাঁড়ানো ওই যুবকেরা তাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। তারই মধ্যে একজন হঠাত্‌ই পার্থবাবুর পেটে বুকে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে প্লাটফর্মে পড়ে গেলেও ফের কোনওরকমে অন্য একটি কামরায় উঠে কলেজের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু জিরাট স্টেশনের পর তিনি ট্রেনের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারই মধ্যে গুপ্তিপাড়া স্টেশন পার হয়ে যায়। পরে কয়েকজন যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাঁরা তাঁকে কালনা স্টেশনে নামিয়ে দেন। সেখানে পরিচিত দুই ছাত্রের সঙ্গে দেখা হলে পার্থবাবু তাঁদের সব জানান। ছাত্ররাই তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রেল পুলিশের কাছে ওই যুবকের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পার্থবাবু। কালনা জিআরপি সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের যে বিবরণ দিয়েছে পার্থবাবু সেই অনুযায়ী তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

Advertisement

পার্থবাবু বলেন, ‘‘ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে উঠতে পারছিলাম না। এ দিকে কলেজে দেরি হয়ে যাবে। তাই ওদের অনুরোধ করি যাতে উঠতে দেয়। কিন্তু সে জন্য যে এ ভাবে মার খেতে হবে ভাবতে পারিনি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন