তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করায় প্রহৃত দলীয় সদস্য

তৃণমূল পরিচালিত সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করাকে কেন্দ্র করে দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রধানের নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ উঠল। প্রহৃত ওই সদস্য রণজিত্‌ জলকরের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্‌সা করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩৪
Share:

তৃণমূল পরিচালিত সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করাকে কেন্দ্র করে দলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রধানের নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ উঠল। প্রহৃত ওই সদস্য রণজিত্‌ জলকরের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্‌সা করানো হয়েছে। বিডিওকে এবং থানায় বিষয়টি রণজিত্‌বাবু। পুলিশ জানায়, রণজিত্‌বাবুকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। আরামবাগে বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে পঞ্চায়েত প্রধান গুণধর খাঁড়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।”

Advertisement

যদিও পঞ্চায়েত সমিতির মত্‌স্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা দলনেতা বাণেশ্বর চিনা বলেন, “সালেপুর-১ পঞ্চায়েতে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। দলগতভাবে বিষয়টা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, সালেপুর-১ পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের গুণধর খাঁড়ার বিরুদ্ধে গত সোমবার দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, সদস্যদের অন্ধকারে রেখে বাতিল লোহালক্কর বিক্রি করেছেন প্রধান। অভিযোগকারী সদস্যদের অন্যতম ছিলেন ১০ নম্বর সংসদের সদস্য রনজিত্‌ জলকর। ওই সদস্যরা বিডিওর কাছে লিখিতভাবে ঘটনার তদন্তের দাবি জানালে মঙ্গলবারই তদন্তে যান বিডিওর প্রতিনিধি। প্রাথমিক তদন্তে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ওই সব লোহালক্কর নিলামের যে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, তার আগেই প্রধান তা বিক্রি করে দেন। প্রধানের বক্তব্য, “পঞ্চায়েত দফতরের নীচের তলায় ব্যাঙ্ক পরিষেবার জন্য তড়িঘড়ি জায়গা দিতেই নিলাম সংক্রান্ত সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন হয়ে গিয়েছে। এ জন্য আমি ভুলও স্বীকার করেছি।”

বিডিও জানিয়েছেন, বিক্রি হওয়া লোহালক্কর নিয়ে আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ জুলাই অব্যবহৃত লোহার জিনিসপত্র নিলামের জন্য নোটিস ঝোলানো হয় পঞ্চায়েত দফতরে। সেখানে বলা হয়, ৫ অগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ২টায় প্রকাশ্যে নিলাম হবে। কিন্তু পঞ্চায়েতের একই দলের সদস্যদের একটা অংশ সুফল চানক,চন্দনা কোলে, রনজিত্‌ জলকরদের অভিযোগ-সেই সব লোহার মালপত্র পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ইচ্ছামত ৫ অগাস্টের আগেই ৩ অগাস্ট রবিবার গোপনে বিক্রি করে দেন, যদিও প্রধানের দাবি ছিল-কোন অনিয়ম হয়নি, নিচের তলায় ব্যাঙ্ক হওয়ার জন্য ঐসব জিনিস অন্যত্র সরানো হয়েছে, অবশ্য দলের উপর নেতৃত্বের একটা অংশের কাছে জানা যায়-মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ দলের নির্দেশে প্রধান বিক্রি করা মালপত্র সব ফিরিয়ে নিয়ে আসেন, ৪ হাজার টাকা কুইন্টল দরে মোট ৮ কুইন্টল ৯৭ কেজি বাতিল লোহা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন